নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব আয় বাড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আরোপিত করের পাশাপাশি নিজেদের উপ-কর আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে পার্টনারশিপ ডায়ালগে উপ-কর আরোপের বিষয়টি জানান দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন ও আনিসুল হক।
জানা যায়,
২০০৯ সালের সিটি কর্পোরেশনের আইনের ৮২ নম্বর ধারার আওতায় উপ-কর আরোপ করা হবে। এই আইনের ৮২ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, সিটি কর্পোরেশন চাইলে নগরীতে ভোগ, ব্যবহার বা বিক্রির জন্য আমদানি করা পণ্যে ও নগরী হতে বাইরে পাঠানো পণ্যে সরাসরি কর আরোপ করতে পারে। আইনে আরও বলা হয়েছে, সরকার যেসব ক্ষেত্রে কর আরোপ করে আসছে সিটি কর্পোরেশন চাইলে সেগুলোর উপরও উপ-কর আরোপ করতে পারবে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, বর্তমানে সিটি কর্পোরেশনের যে রাজস্ব আয় হয় তা দিয়ে বেতন-ভাতা চালানোই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। উন্নয়নের কাজে লাগানো যায় না। তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় আমদানি ও রপ্তানি পণ্যের উপর উপ-কর আদায়ের সুযোগ আছে। তবে এ সংক্রান্ত কোনো নীতিমালা এখনো তৈরি হয়নি। নীতিমালা তৈরি হলেই এ কর আদায় করা সম্ভব হবে। আর এটা করা হলে সিটি কর্পোরেশনের আর্থিক সংকট কিছুটা হলেও দূর হবে। উপ-কর বাবদ আদায় করা অর্থ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় জীবন-মান উন্নয়নে ব্যয় করা হবে বলে জানান ডিএসসিসির মেয়র।
ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র আনিসুল হক বলেন, এনবিআরে কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে ও সুবিধা নিতে এসেছি। বিশেষ করে সিটি কর্পোরেশনে উপ-কর আরোপের বিষয়ে একটি আইন আছে। ২০০৯ সালে প্রণয়ন করা এ আইন কার্যকর করা হবে। আমাদের কিছুই করার নেই। সিটির প্রয়োজনে নতুন রাজস্ব খুঁজে বের করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে উপ-কর আদায়ের জন্য সঠিক নীতিমালা তৈরি করতে এনবিআরের সঙ্গে যৌথভাবে বসব আমরা। চলতি অর্থবছরে উপ-কর আরোপের আইন প্রয়োগ করা সম্ভব না হলেও আসছে অর্থবছর থেকে এটি কার্যকর করা হবে। এসময় এনবিআর ও দুই সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি