সোহাগ শাকিল : কূটনীতিকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় আবেদনের বিবেচনায় সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনায় গঠিত সমন্বিত টাস্কফোর্সের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বিকাল ৩টায় এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে কূটনীতিকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো দেশের বিদ্যমান আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পর্যালোচনা করা হবে বলে বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে জানানো হয়। এছাড়া বৈঠকে কূটনৈতিক এলাকার নিরপত্তা বাড়ানোয় সন্তুষ্টিও প্রকাশ করেন কূটনৈতিকরা।
বৈঠকে বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকদের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ এম মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে যেকোন উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সরকারকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল বিভিন্ন দেশের দূতাবাস। এছাড়া কূটনৈতিক ও নাগরিকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বেসরকারি কর্মীদের অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি চায় যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, স্পেন ও ফ্রান্স এবং কানাডা, জাপান, ইতালি ও নেদারর্যান্ডস তাদের দূতাবাসের জন্য বুলেটপ্রুফ ও বিস্ফোরক নিরোধক উন্নত প্রযুক্তিসমৃদ্ধ গাড়ি আমদানির অনুমতি চায়। দেশের বিদ্যমান আইন এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সনদ ও নির্দশেনার সঙ্গে ওই সব আবেদনের সঙ্গতিÑঅসঙ্গতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও বৈঠক শেষে জানানো হয়।
গত মাসে গুলশানের হলি আর্টিজেনে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে কূটনৈতিক অঙ্গনে সৃষ্ট উদ্বেগ আতঙ্ক নিরসনে এবং কূটনীতিকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কিছু আবেদনের বিবেচনায় জুলাইয়ের ১৪ তারিখে এই সমন্বিত টাস্কফোর্সটি গঠন করা হয়। ৮ সদস্যের এই টাস্কফোর্সে এ এইচ এম মাহমুদ আলীকে সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সরকারের সব বিভাগ এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সদস্য হিসেবে রাখা হয়।
সম্পাদনা: এএইচসি