দীপক চৌধুরী : পদ্মার ওপারে শিবচরে সরকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সেখানে জাপান এবং দাতা সংস্থা জাইকা বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ‘কনসালটেন্ট’ নিয়োগ করা হয়েছে।
জানা গেছে, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রায় ১৩ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকার প্রকল্পটির কার্যক্রম শুরু করতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে জাপানের নিপ্পন কোয়েই কোম্পানি লিমিটেডকে সমীক্ষা যাচাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্থান হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে মাদারীপুরের শিবচরের চরজানাজাত।
নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘোষণা অনুযায়ী মাদারীপুরের শিবচরের চরজানাজাতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্থান চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে। বিমানবন্দর নির্মাণে সমীক্ষা বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ১২০ কোটি ২০ লাখ টাকা। বাস্তবতার নিরিখে বাংলাদেশে আরও একটি আন্তর্জাতিক আধুনিকমানের বিমানবন্দর নির্মাণ আবশ্যক। সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নিলেও নানা কারণে তা আটকে ছিল।
মন্ত্রণালয়ের একাধিক সভার কার্যবিবরণী সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিমানবন্দরকে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সেতুবন্ধ হিসাবে চিহ্নিত করে তা দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়েছেন।
সূত্রগুলো বলছে, আধুনিক জাম্বে^া বিমান তথা এয়ারবাস-৩৮০ চলাচলে সক্ষম রানওয়ে দুটি এবং অবতরণের জন্য তৃতীয় অপর একটি রানওয়ে থাকবে। সমান্তরাল ট্যাক্সিওয়ে ও অ্যাপ্রন থাকবে। তিন লাখ যাত্রী পরিবহনের সুবিধাসম্পন্ন প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল কমপ্লেক্স ও পর্যাপ্ত সংখ্যক গেট থাকবে। বিমানবন্দরের ভেতরে থাকবে পাঁচ তারকাবিশিষ্ট হোটেল এবং তিন তারকাবিশিষ্ট ট্রানজিট হোটেল। পাশাপাশি এয়ারপোর্ট কমার্শিয়াল সিটি, বহুতলবিশিষ্ট কার পার্কিং, কার্গো ভিলেজ, এয়ারক্রাফট ব্যবস্থাপনা হ্যাঙ্গার, বিজনেস সেন্টার, ট্যুরিস্ট স্পট, পাওয়ার স্টেশন, পানি, পয়ো:নিষ্কাশন ও অন্যান্য সিস্টেম থাকবে বিমানবন্দরে।