আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইন্ডিয়ানার গ্যারি শহরে ‘ফ্যামিলি ডলার’ সংস্থার এক ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে গিয়েছিলেন বছর বত্রিশের সারা সফি। অনেক বছর ধরেই বোরকা পরেন তিনি। কিন্তু এবার দোকানে ঢোকার ১০ মিনিটের মধ্যেই এক কর্মী বলেন, ‘বোরকা না খুললে দোকান থেকে চলে যেতে হবে।’ সারার বক্তব্য, ‘কথা শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমার জন্ম গ্যারিতেই। এখানেই বড় হয়েছি। বোরকাও পরছি বহু বছর। কিন্তু এমন কথা শুনিনি।’ বিডি টুডে
সারার দাবি, এর পরে তিনি ওই কর্মীকে বোঝানোর চেষ্টা করেন বোরকা তার ধর্মীয় পরিচয়ের অঙ্গ। জবাবে কর্মীটি বলেন, ‘’বুঝতে পারছি। কিন্তু এখানে খুব চুরি ডাকাতি হয়। তাই মুখ না দেখালে আপনাকে দোকানে থাকতে দিতে পারছি না।’
জবাবে সারা জানান, আমেরিকায় ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার আছে। তার যা ইচ্ছে তা-ই পরতে পারেন। কর্মীটি এ বার বুঝিয়ে দেন, বোরকা না খুললে তিনি পুলিশ ডাকবেন। সারার কথায়, ‘’আমার বাচ্চারা বাইরে ছিল। ওদের সামনে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে চাইনি। তাই বেরিয়ে যাই।’’ তবে দোকানের কর্মীটি বোরকা নিয়ে আপত্তি করা শুরু করতেই কথাবার্তা মোবাইলে রেকর্ড করে নেন তিনি।
সারার মতে, ওই কর্মী দুঃখপ্রকাশ করলেই যথেষ্ট। তবে ওই কর্মীকে ধর্মীয় বিশ্বাসের কথাও বোঝাতে চান তিনি। তার পাশে দাঁড়িয়েছে মার্কিন মুসলিমদের সংগঠন ‘কাউন্সিল অব আমেরিকান মুসলিম রিলেশনস’। সংগঠনের দাবি, এটা মানুষের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ।