আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শুধু মুসলিম হওয়ায় মার্কিন মানবাধিকারকর্মীদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। মার্কিন পাসপোর্টধারী পাঁচজন মানবাধিকার পর্যবেক্ষক অভিযোগ করেছেন, তাদেরকে দেখে মুসলিম মনে হওয়ায় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাদেরকে প্রথমে আটক করে রুঢ় জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং পরে প্রায় লাথি দিয়ে দেশ থেকে বের করে দেয়। নিউজপেপার্স৭১
এই পাঁচজন ইসরায়েলে ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার পর্যবেক্ষণে কর্মরত ৪৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের অংশ ছিলেন। ফিলিস্তিনি অংশে ইসরায়েলি দখল বন্ধে মার্কিন একটি প্রচারণার হয়ে পর্যবেক্ষণ কাজে দায়িত্ব পালন করছিলেন এই প্রতিনিধিরা। কিন্তু তাদের পরিকল্পনা ও কার্যক্রম ভেস্তে যায় গত ১৭ জুলাইয়ের ওই ঘটনায়। কারণ ওই পাঁচজনকে দলের বাকি সদস্যদের সাথে ইসরায়েলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ওই প্রচারণার একজন পরিচালক রামাহ কুদাইমিও ছিলেন ওই পাঁচজনের একজন। রামাহ বলেছেন, ‘’আমাদের মধ্যে যাদেরই মুসলিম নাম কিংবা দেখে মুসলিম মনে হয়েছে তাদেরকেই আলাদা করে ফেলা হয়েছে।’’ যে পাঁচজনকে ওরা লক্ষ করেছিল তাদের মধ্যে চারজনই ছিলেন মুসলিম, পঞ্চম ব্যক্তির ছিল শুধু লম্বা দাড়ি। রামাহ সংবাদ মাধ্যম অলটারনেট’কে বলেছেন, ‘’আরও দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল, কিন্তু পরে তাদেরকে ইসরায়েলে ঢুকতে দেওয়া হয়। তাদের একজন ছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ নারী এবং আরেকজন মুসলিম নামি পাকিস্তানি। এটা নিশ্চিত যে, শুধুমাত্র মুসলিমদেরই ওরা লক্ষ করেছিল। নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিরা বলেছেন, দেশ থেকে বের করে দেওয়ার আগে তাদের সাথে জঘন্য আচরণ করা হয়েছে।
মার্কিন প্রচারণা দলের বিবৃতি অনুসারে, বিনা আহমেদ নামের নিউ ইয়র্কের একজন নামি আইনজীবীকে তারা কোনো কারণ ছাড়াই নোংরা একটি কক্ষে আটকে রাখে। বেশ কয়েকজন নারীকে তারা ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে বিব্রতকর ও অশ্লীল প্রশ্ন করে এবং প্রায় ১৮ ঘণ্টা আটকে রাখে। এই পাঁচজনকেই আগামী ১০ বছর ইসরায়েলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।