• প্রচ্ছদ
  • আমার দেশ
  • আমাদের বিশ্ব
  • খেলা
  • ইসলামি চিন্তা
  • অমৃত কথা
  • বিনোদন
  • আজকের পএিকা
    • প্রথম পাতা
    • শেষ পাতা
  • নগর সংস্করণ
  • মিনি কলাম
  • খ্রিস্টীয় দর্পণ
  • প্রবারণা পূর্ণিমা

প্রথম পাতা

লাশ নিতে চান মা

প্রকাশের সময় : August 6, 2016, 12:00 am

আপডেট সময় : August 5, 2016 at 11:30 pm

দিনাজপুর প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় গত ঈদের দিন জঙ্গি হামলার মামলার আসামি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার শফিউল ইসলামের লাশ নিতে চান তার মা নার্গিস সুলতানা।
শফিউল গত বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহের নান্দাইলে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে ঘোড়াঘাটের দেবীপুর গ্রামে শফিউলদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, শফিউলের মা নার্গিস সুলতানা তার দুই মেয়েকে জড়িয়ে ধরে বিলাপ করছেন। পাশে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও কান্নাকাটি করছেন।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে শফিউলের মা বলেন, ‘বাপের (শফিউলের বাবার) দোকানটা পুড়ে দেওয়ার পর হামার জীবনটা এলোমেলো হয়ে গেল। ছোলটা (শফিউল) মাসছয়েক আগে চোখের আড়ালোত চলে গেলো। কোটে কি করলো হারাতো কেউ কিছুই জাননো না। বড় কোনো অপরাধ যদি করেই থাকে দেশোত তো ফাঁসি আছে। ছোলটাক মোর বিচার করে ফাঁসি দিলো হয়, তাও তো শান্তি পানো হয়।’
লাশ নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে নার্গিস বেগম বলেন, ‘শফিউল যা কিছু করছে হামার (পরিবারের) অগোচরোত। হারা যদি এনাও বুঝা পারনো হয় ছোলটা (শফিউল) জঙ্গি হছে, তা হলে যেঙ্কারে হোক হারা ওক (শফিউলকে) ওই পথোত তে ফিরে আননো হয়।’
সন্তানের লাশ নির্বিঘেœ ফিরে পেতে সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়ে নার্গিস সুলতানা বলেন, ‘যেই ছোলোক মুই পেটোত ধরছো সেই ছোলটার মুখটা দেখে বাড়ির ধারোত নিজ হাতোত কবরটা দিবা চাও। সরকার মোর ছো?লটার লাশটা যেন দেয়।’
গত ৭ জুলাই ঈদের দিন কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহের অদূরে আজিমুদ্দিন স্কুলের পাশে পুলিশ সদস্যদের উপর সশস্ত্র হামলা চালায় জঙ্গিরা। এ হামলার ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্য, এক নারী ও সন্ত্রাসীসহ চারজন নিহত হন। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করা হয় সন্দেহভাজন হামলাকারী শফিউলকে।

সম্পাদক

নাসিমা খান মন্টি

09617175101, 01708156820

[email protected]

১৩২৭, তেজগাঁও শিল্প এলাকা (তৃতীয় তলা) ঢাকা ১২০৮, বাংলাদেশ। ( প্রগতির মোড় থেকে উত্তর দিকে)