মাহমুদুল হাসান রতন, ময়মনসিংহ : কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া হামলার আসামি শফিউল ইসলামকে দুটি মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন এসে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব বলছে, এ সময় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শফিউল নিহত হন। নিহত আরেকজনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। শুক্রবার সকালে র্যাব-১৪ এর কমান্ডিং অফিসার শরিফুল ইসলাম এসব কথা জানান। তার ভাষ্য, চিকিৎসা শেষে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শফিউলকে কিশোরগঞ্জের থানায় হস্তান্তর করতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। নান্দাইলের ডাংরি এলাকায় দুটি মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন এসে শফিউলকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এরপর র্যাবের সঙ্গে তাদের ‘বন্দুকযুদ্ধ’ শুরু হয়। যে মাইক্রোবাসে করে শফিউলকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেটির উপরও হামলার চেষ্টা চলে।
র্যাব বলছে, অন্ধকার থাকায় কারা মোটরসাইকেলে এসেছিল, তা বোঝা যায়নি। ‘বন্দুকযুদ্ধের’ পর আলোর ব্যবস্থা করে দুজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এর মধ্যে একজন শফিউল। আরেকজনের পরিচয় মেলেনি।
নান্দাইল থানার ওসি মো. আতাউর রহমান দুজন নিহত হওয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে যে শোলাকিয়ার হামলাকারী শফিউলও রয়েছেন, তা নিশ্চিত করেছেন ওসি। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি আধুনিক পিস্তল, দুটি চাপাতি, অবিস্ফোরিত একটি ককটেল ও নিবন্ধনবিহীন দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। সম্পাদনা : প্রিয়াংকা