আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছানির্বাসিত ধর্মীয় চিন্তাবিদ ফেতুল্লাহ গুলেনের বিরুদ্ধে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে তুরস্ক। ১৫ জুলাই তুরস্কে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) ইস্তাম্বুলভিত্তিক একটি আদালত এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদুলুর বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা খবরটি নিশ্চিত করেছে।
এদিকে নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আবারও অস্বীকার করে গ্রেফতারি পরোয়ানার নিন্দা জানিয়েছেন গুলেন। রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছানির্বাসিত গুলেনের বিরুদ্ধে এটি কেবল একটি প্রতীকী বিচার প্রক্রিয়া নয়। তার চেয়েও বেশি কিছু।
আল জাজিরার প্রতিনিধি বার্নার্ড স্মিথ বলেন, ‘ফেতুল্লাহ গুলেনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার জারি করা এ গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রতীকীভাবে নেওয়া আইনি পদক্ষেপের চেয়ে বেশি কিছু বলেই মনে হচ্ছে। গুলেন তুরস্কে না থাকায় এর কার্যকরী প্রভাব থাকছে না। তবে গুলেনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ার প্রস্তাবনা হিসাবে এ পরোয়ানা জারি করা হয়ে থাকতে পারে।’
বৃহস্পতিবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে এর নিন্দা জানিয়েছেন গুলেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এটি সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে,তুরস্কের বিচার বিভাগের কোনো স্বাধীনতা নেই। আর এই গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রমাণ করে, প্রেসিডেন্ট এরদোগান গণতন্ত্রের পরিবর্তে দেশটিতে স্বৈরতন্ত্র চালু করার চেষ্টা করছেন।’
‘তুরস্কে ১৫ জুলাইয়ের ‘ব্যর্থ অভ্যুত্থানের’ পর গুলেনের বিরুদ্ধে এটিই প্রথম গ্রেফতারি পরোয়ানা হলেও তুরস্কে তার বিরুদ্ধে এটাই প্রথম পরোয়ানা জারি নয়। এর আগে এরদোগান ও তুরস্কের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভোতুগলুর কথোপথনে আঁড়ি পাতার অভিযোগ উঠেছিল। আর সেই সংগঠনের নেতা হিসাবে গুলেন অভিযুক্ত হয়েছিলেন। গুলেনের নেটওয়ার্ককে তুরস্কে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ১৫ জুলাইয়ের অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার পর তার নেটওয়ার্কের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় অভিযানও শুরু হয়। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ