মমিনুল ইসলাম : বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্সিয়াল ব্যাংককে (আরসিবিসি) ২১ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল শুক্রবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক বিবৃতিতে রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ব্যাংকটি জড়িত থাকায় এ জরিমানা আরোপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ফিলিপিন্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিবৃতিকে উদ্ধৃত করে বলেছে এটিই তাদের সবচেয়ে বড় ধরনের জরিমানার ঘটনা।
অন্যদিকে আরসিবিসি বলেছে, তারা এক বছর সময়সীমার মধ্যেই জরিমানার টাকা (১ বিলিয়ন পেসো) কিস্তিতে পরিশোধ করবে। দুই কিস্তিতে ৫০০ মিলিয়ন পেসো করে পরিশোধ করা হবে।
নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের একাউন্ট থেকে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরির ঘটনার সাথে জড়িতরা রিজাল ব্যাংককেই চ্যানেল হিসাবে ব্যবহার করেছিল।
এর আগে শুক্রবার রিজার্ভ চুরির টাকা উদ্ধারে বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলা করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্সিয়াল ব্যাংক (আরসিবিসি)। শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ বিষয়টি জানিয়েছে ব্যাংকটি।
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, আরসিবিসি ব্যাংকের ত্রুটি বাকি অর্থ ক্যাসিনো শিল্পে অদৃশ্য হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।
তবে আরসিবিসি রয়টার্সকে জানিয়েছে, ফিলিপাইনির পক্ষ তাদের যা করার তা করেছে। বিশ্বব্যাপী আর্থিক লেনদেনের বার্তা প্রদানকারী নেটওয়ার্ক সুইফটের মাধ্যমে অনুমোদন করার নির্দেশনার ভিত্তিতেই অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে। হ্যাকাররা স্থানান্তর নির্দেশনা প্রদান করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি হওয়া ক্রেডেনশিয়াল ব্যবহার করেছে বলে উল্লেখ করেছে ব্যাংকটি।
আরসিবিসি এক বিবৃতিতে বলেছে, মিডিয়া এবং সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কাছে যাওয়ার পরিবর্তে আদালতে যাওয়াই সঠিক পদ্ধতি। ‘আমরা এমন অভিযোগ দায়েরকে স্বাগত জানাব। কেননা আরসিবিসি অর্থের কোনো কিছুই তাদের কাছে রাখেনি। অর্থ ছেড়েছে নিউইয়র্ক ফেড এবং তা সুইফটের অনুমোদনের পর তিনটি বৈশ্বিক ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অযথা ফিলিপাইনি সরকারের উপর দায়িত্ব চাপানোর চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবশ্যই সঠিক আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, চুরির টাকা উদ্ধারে বাংলাদেশ ব্যাংকের চলমান প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে তারা আরসিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করবে। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম