• প্রচ্ছদ
  • আমার দেশ
  • আমাদের বিশ্ব
  • খেলা
  • ইসলামি চিন্তা
  • অমৃত কথা
  • বিনোদন
  • আজকের পএিকা
    • প্রথম পাতা
    • শেষ পাতা
  • নগর সংস্করণ
  • মিনি কলাম
  • খ্রিস্টীয় দর্পণ
  • প্রবারণা পূর্ণিমা

নগর সংস্করণ

সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও অবাধে চলছে ‘আদিবাসী’বিষয়ক অনুষ্ঠান

প্রকাশের সময় : August 6, 2016, 12:49 am

আপডেট সময় : August 6, 2016 at 12:49 am

মমিনুল ইসলাম ও ফারুক আলম : সরকারি নিষেধাজ্ঞা ও সতর্কতা সত্ত্বেও ‘আদিবাসী’ শব্দের ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো, জাতীয় ঐতিহাসিক স্থানে অনুষ্ঠান, কর্মসূচি পালন করছে সাংবিধানিকভাবে ঘোষিত বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা। সরকার এসব স্থান ব্যবহারে অনুমতি প্রদানে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য নির্দেশ দিলেও উদাসীন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
উপজাতীয়দের আদিবাসী উল্লেখ না করার বিষয়ে ইতোপূর্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে নির্দেশনা প্রদান করা সত্ত্বেও তার কোনো কার্যকারিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থান কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ৯ আগস্ট বিশ^ আদিবাসী দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠান উদযাপনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম। দেশের স্বাধীনতার সঙ্গে জড়িত এ ঐতিহাসিক স্থানসহ জাতীয় স্থাপনাসমূহে বিচ্ছিন্নতাবাদী দাবির পক্ষে ব্যবহারের সুযোগ পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
২০১৫ সালের ১৬ আগস্ট গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-৩ অধিশাখা থেকে ‘বাংলাদেশে আদিবাসী নামক অসাংবিধানিক দাবি বাস্তবায়নের অপকৌশল রোধে রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো জাতীয় ঐতিহাসিক স্থান ব্যবহারের অনুমতি প্রদানের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন’সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এ নির্দেশনায় একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে বাংলাদেশে বসবাসরত বিভিন্ন ছোট ছোট সম্প্রদায়/গোষ্ঠীকে উপজাতি/ক্ষুদ্র জাতিসত্তা/নৃগোষ্ঠী বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। একটি স্বার্থান্বেষী মহল দেশি-বিদেশিদের সহায়তায় বাংলাদেশে আদিবাসী নামক অসাংবিধানিক দাবিটি প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক এ প্রতিবেদককে বলেন, যারা আদিবাসী শব্দ ব্যবহার করে অনুষ্ঠানের অনুমতি দিচ্ছেন তারা দ্বিমুখী আচরণ করছেন ও পরিস্থিতি বুঝতে পারছেন না। আমি কোনো মতেই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ের বিরুদ্ধে নই। সাংবিধানিকভাবে তাদের অধিকার অবশ্যই দিতে হবে। কিন্তু আদিবাসী শব্দটি বা আদিবাসী পরিচয়টি যদি আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পায় তাহলে বাংলাদেশের জন্য তা মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনবে।
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন, আদিবাসী শব্দটি উল্লেখ না করার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। সেই বিজ্ঞপ্তি আমরা মেনে নেইনি। সংবিধানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শব্দ রয়েছে আদিবাসী শব্দ নেই। এজন্য আমরা আদিবাসী শব্দ ব্যবহার করতে পারব নাÑ এটা কোন নীতি বলে প্রশ্ন রাখেন তিনি। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম

সম্পাদক

নাসিমা খান মন্টি

09617175101, 01708156820

[email protected]

১৩২৭, তেজগাঁও শিল্প এলাকা (তৃতীয় তলা) ঢাকা ১২০৮, বাংলাদেশ। ( প্রগতির মোড় থেকে উত্তর দিকে)