দেশের বাইরে প্রথম পুরস্কার
ফেরদৌস আহমেদ
সময়টা ১৯৯৮। কলকাতার ছবিতে ব্যস্ততা বেড়েই চলেছে। একদিন হঠাৎ ফোন। আনন্দবাজার পত্রিকা থেকে। এ বছর অ্যাওয়ার্ডের জন্য সিলেক্ট হয়েছি। কেমন অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিল সেদিন। অ্যাওয়ার্ডের জন্য আমি? বাংলাদেশের একটা ছেলে! প্রথম ছবি। প্রথম ছবিতেই দুই দেশ থেকে অ্যাওয়ার্ড। ওই প্রোগ্রামে বাংলাদেশ থেকে আমি আর আমার ভাই ছিলাম, সঙ্গে রাইসুল ইসলাম আসাদ ও রুনা লায়লা। তিনজনকেই ওরা আমন্ত্রণ করেছিল। মুম্বাইয়ের অনেক সুপারস্টার কারিশমা কাপুর, শশী কাপুর, জয়া বচ্চন, রাজেশ খান্না সবার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। রেখা, দিলীপ কুমারসহ সবাইকে দেখেছি। সেই প্রোগ্রামে আমি যখন অ্যাওয়ার্ড পেলাম তখন মনে হয়েছে যেন অবিশ্বাস্য। এতগুলো মুম্বাই তারকার সঙ্গে আমাকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হচ্ছে, আনন্দে আমার চোখে পানি এসে গেল। দারুণ একটা স্মৃতি। সেই প্রোগ্রামে সৌমিত্র চ্যাটার্জির সঙ্গে দেখা। তিনি আমাকে অভিনন্দন জানালেন। রাজেশ খান্না খুবই অবাক হয়েছেন, সঙ্গে শর্মিলা ঠাকুর ছিলেন। তারা বললেন, বাংলাদেশ থেকে এসে অভিনয় করছে, ভালো করছে। তার মানে কলকাতায় কী কোনো হিরো নেই! সবাই বলল, আছে কিন্তু ফেরদৌস খুব ভালো করছে। সবাই আমার ব্যাপারে খুবই আশাবাদী ছিল। উজালা-আনন্দলোক অ্যাওয়ার্ড আমার মধ্যে আরও কনফিডেন্স বাড়িয়ে দিল। এরপর থেকে প্রতিবছর অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামে উপস্থিত থাকতাম। কখনও অ্যাওয়ার্ড দিতে যেতাম, কখনও পারফরমেন্স করতাম। পরে নমিনেশন ছিল, কিন্তু সেভাবে বড় অ্যাওয়ার্ড আর পাইনি। একবার উত্তম কুমার স্মৃতি পুরস্কার পেয়েছিলাম। সেটাও আমার জীবনে অনেক বড় প্রাপ্তি, বড় অর্জন।
লেখক : চিত্রনায়ক / সম্পাদনা : জব্বার হোসেন