কক্সবাজারে বাড়ছে মাদকাসক্তের সংখ্যা ৪ বছরে মারা গেছে ৪০ জন
ফরিদুল মোস্তফা খান, কক্সবাজার : কক্সবাজার সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় হাত টানলেই মিলছে ইয়াবাসহ নানা মাদকদ্রব্য। মাদক সেবন ও বিক্রি বন্ধে প্রশাসন সক্রিয় থাকলেও যেন কোন অবস্থাতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। ফলে দিন দিন বাড়ছে মাদকসেবীর সংখ্যা। যুবসমাজসহ নানা শ্রেণী পেশার লোক ঝুকছে মাদকের দিকে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী দীর্ঘদিন মাদক সেবনে একের পর এক মরতে থাকলেও বাড়ছে মাদক সেবির সংখ্যা। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, গত ৪ বছরে অতিরিক্ত মাদক সেবনে মারা গেছে ৪০ জনেরও বেশি লোক। আর চিহ্নিত মাদকসেবী রয়েছে চারশ-এরও বেশি। এভাবে চলতে থাকলে ধবংস হবে যুব সমাজ, অবক্ষয় হবে সামাজিক ব্যবস্থাপনা, বাড়বে অপরাধ কর্ম এবং অবনতি হবে আইনশৃঙ্খলার। এমনটাই বলছেন সচেতন মহল। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের প্রত্যাশা দ্রুত এই সমস্যা সমাধান করতে হবে কক্সবাজারবাসী তথা পর্যটন নগরীর কল্যাণে। কলেজ শিক্ষক মোহাম্মদ ইলিয়াস কবির বলেন, পরিবারের অবহেলা এবং সঙ্গদোষের কারণে অনেকে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। তাই পরিবারকে সবসময় সচেতন থাকতে এসব ব্যাপারে। মূলত ধূমপানই হচ্ছে মাদকের প্রাথমিক ধাপ। তাই খেয়াল রাখতে হবে সন্তান যেন ধূমপায়ী না হয়।
এডভোকেট হাবিবুর রহমান বলেন, মাদকের এই আগ্রাসনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়ী। কারণ শহরে বেশ কিছু চিহ্নিত মাদক বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। যেখান থেকে খুব সহজেই মাদক ক্রয় করা হচ্ছে। এসব বিক্রয় কেন্দ্রেগুলো রয়েছে, শহরের বড়বাজার পূর্ব মাছ বাজার, পশ্চিম মাছ বাজার, রাখাইন পাড়া, নুনিয়ার ছড়া ও বৈদ্যঘোনাসহ বিভিন্ন এলাকা। দীর্ঘদিন ধরে ওসব এলাকায় মাদক বিক্রি হলেও যেন কোনভাবেই বন্ধ হচ্ছে না। এটি নিশ্চয় প্রশাসনের ব্যর্থতা।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসক নোবেল কুমার বড়–য়া জানান, মাদকদ্রব্য বরাবরেই মানব স্বাস্থের জন্য মারাত্মক। অনেক মাদকসেবি ওভার ড্রোজ (অতিরিক্ত মাদক নেওয়া) মাদক নেয়। এর ফলে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে।
অতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলে, ক্যান্সার থেকে শুরু করে নানা ধরনের রোগ হয়। এছাড়া দীর্ঘদিন মাদক সেবনের ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে মাদকসেবীরা যেকোন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।