কবিগুরুর কুঠিবাড়ির পাশে কমপ্লেক্স তৈরির পরিকল্পনা
সালমা পারভীন : কুষ্টিয়া শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে, সবুজে ঘেরা নিরিবিলি ঠাকুর পরিবারের কুঠিবাড়ি। প্রায় দশ বছর এখানেই ছিলো, কবিগুরুর বসবাস। কখনো বজরায়, কখনো ঘরের কোণে মজে থাকতেন সাহিত্যের অনবদ্য সব সৃষ্টিতে। রবীন্দ্র সাহিত্য চরিত্র চিত্রণে এক বড় অংশ জুড়ে আছে, কুষ্টিয়ার শিলাইদহের স্মৃতি। আর তাই এই স্মৃতি সংরক্ষণে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে কুঠিবাড়ির পাশে একটি কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রাথমিক পরিকল্পনা করা হয়ে গেছে। এটি তৈরিতে খরচ হবে ১৩ কোটি টাকা। এখনো রবির আলোয় আলোকিত কুষ্টিয়ার কুঠিবাড়ি। সূত্র : চ্যানেল ২৪
শহর থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে, গড়াই ও পদ্মার পাশে শিলাইদহ গ্রাম। জমিদারির কাজে সবুজঘেরা নিরিবিলি এই কুঠিবাড়িতে বারবার ফিরে আসতেন চির নতুনের কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাকে নোবেল পুরস্কার এনে দেয়া গীতাঞ্জলির বেশিরভাগ গান এই কুঠিবাড়ির বকুলতলায় বসেই লিখেছিলেন রবিবাবু।
কালের স্বাক্ষী এই বাড়ি নিয়ে তাইতো আগ্রহের শেষ নেই রবীন্দ্রপ্রেমীদের। কারণ ভারত ও বাংলাদেশের মানুষের শিল্পবোধকেই যে তিনি দিয়েছেন নতুন ঠিকানা। কবিগুরুর অনবদ্য সৃষ্টির খোঁজে, এখনও কুঠিবাড়িতে ভিড় করেন হাজারো মানুষ। যদিও দুর্ভোগ কখনো পিছু ছাড়ে না তাদের।
তবে আশার কথা পর্যটকদের ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে কুঠিবাড়িতে নির্মাণ করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন কমপ্লেক্স, বরাদ্দও মিলেছে ১৩ কোটি টাকা। চূড়ান্ত হয়েছে ডিজাইনও।
অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধাই থাকছে এই কমপ্লেক্সে। এলাকাবাসী মনে করেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আরও সমৃদ্ধ হবে কুঠিবাড়ি। আনন্দ বেদনা সংকটে পরম আশ্রয় হয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেঁচে থাকবে বাঙালির হৃদয়ে। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম