‘শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল’ গঠন আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ কাজ : মুজিবুল হক চুন্নু
আনিসুর রহমান তপন : শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে গঠন করা হয়েছে ‘শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল’ আইন। এটি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ কাজের একটি। এর মাধ্যমে দেশের সাধারণ শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে। আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে একান্ত আলাপে শ্রমিক কল্যাণে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে নিজের প্রতিক্রিয়া জানান, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে ১৬০ কোটি টাকার তহবিল গড়ে উঠেছে। শ্রম আইন সংশোধনের ফলে দেশের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের একটি নির্দিষ্ট অংশ দিয়ে তহবিল সমৃদ্ধ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রমিক কল্যাণে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। তারই অংশ হিসেবে আমরা শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিলের আয় বৃদ্ধি ও ব্যয়ের বিধিবিধান তৈরি করেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রপ্তানিমুখী শিল্প থেকে শ্রমিকদের কল্যাণে রপ্তানির ওপর থেকে ০.০৩ শতাংশ কর্তন করে ফান্ড তৈরি শ্রমিক কল্যাণে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শিল্পায়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, বহির্বিশ্বে দেশের সুনাম, মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক দায়বদ্ধতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক কাজে নিয়োজিত শ্রমিক ও তাদের পরিবারের কল্যাণে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে শ্রমিকদের অর্থসহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। কর্মরত অবস্থায় কোন শ্রমিক দৈহিক বা মানসিকভাবে স্থায়ী অক্ষম বা অসমর্থ হলে অথবা মৃত্যু ঘটলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক অথবা তার পরিবার এককালীন অনধিক দুই লাখ টাকা অনুদান পাবেন। এছাড়া মৃতদেহ পরিবহন ও সৎকারের জন্য শ্রমিক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা সাহায্য প্রদান করা, দুরারোগ্য ব্যাধির সুচিকিৎসায় অনধিক এক লাখ টাকা অনুদান, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত মহিলা শ্রমিকের মাতৃত্ব কল্যাণে অনধিক ২৫ হাজার টাকা, শ্রমিকের মেধাবি সন্তানের সাধারণ শিক্ষার ক্ষেত্রে অনধিক ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের টাকা এখনও জমা হচ্ছে। আর এই তহবিল থেকে প্রতিবছর যৌথ বিমার প্রিমিয়াম দেওয়া হচ্ছে এক হাজার ৩০০ টাকা। এর মধ্যে শ্রমিক দিচ্ছে ৪৫০ টাকা এবং ফাউন্ডেশন থেকে দেওয়া হচ্ছে ৮৫০ টাকা। এ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার শ্রমিক বিমা করেছেন। ৫ বছর মেয়াদি এ বিমা ২০১৪ সাল থেকে শুরু হয়েছে।
এছাড়া সকল রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের রপ্তানি মূল্য থেকে ওই সেক্টরের শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য ০.০৩ শতাংশ টাকা কেটে রেখে এই তহবিলে জমা করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু কল্যাণ ফান্ড নয় শ্রকিদের নিরাপত্তায় এখন প্রভিডেন্ড ফান্ড গঠনের কাজ শুরু করেছে শ্রম মন্ত্রণালয়। সরকারের ‘একটিবাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের সঞ্চয় স্কিমের আদলে এ প্রভিডেন্ড ফান্ড গড়ে তোলা হবে। এর মেয়াদ ১৫ বা ২০ বছর করা হতে পারে। সম্পাদনা : বিশ্বজিৎ দত্ত