৪ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : সারাদেশে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও এখন পর্যন্ত ৪টি জেলায় পরিস্থিতি রয়েছে অপরিবর্তিত। বিস্তারিত আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরেÑ
আব্দুম মুনিব, কুষ্টিয়া : গড়াই নদীর অব্যাহত ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী ও খোকসা উপজেলার নদী তীরবর্তী হাজার হাজার মানুষ। এখন পর্যন্ত সরকারি তেমন কোনো সহযোগিতা পায়নি তারা। দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বিলীন হয়ে যাবে শত শত ঘরবাড়ি। খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেবেকা খান জানান, কৃষি জমির থেকে মানুষের বসতবাড়ি বেশি বিলীন হচ্ছে। তাদের তালিকা করা হচ্ছে। জরুরিভিত্তিতে তাদের ৩ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে, এছাড়াও অনান্য সহায়তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নদী ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে লিখিতভাবে অবহিত করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
খেলাফত হোসেন খসরু, পিরোজপুর : পিরোজপুরে জোয়ারের পানিতে ভেসে যাচ্ছে কাঁচা নদীর তীরবর্তী এলাকা আর তাতে গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে এলাকার হাজার হাজার মানুষ। নদীর বাঁধ ভাঙনের ফলে এমনটি হচ্ছে বলে জানান এলাকার জনগণ। জোয়ারের পানির চাপে ভেঙে যাচ্ছে মানুষের চলাচলের রাস্তাঘাট। শনিবার দুপুরে জোয়ারে পানিতে ডুবে যাওয়া এলাকাগুলো ঘুরে দেখেন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. মিরাজুর রহমান রাজু। এ সময় চেয়ারম্যানকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন গৃহবন্দি এলাকাবাসী।
রফিকুল ইসলাম, গাইবান্ধা : গাইবান্ধায় বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও বন্যাকবলিত সাঘাটা উপজেলার ৫ ইউনিয়নে ৪৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো অনেক বিদ্যালয় থাকা এবং অনেক বিদ্যালয়ে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার কারণে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এসব বিদ্যালয়গুলোতে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষাও স্থগিত রাখা হয়েছে। সাঘাটা উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক বন্যায় যমুনা তীরবর্তী ৫টি ইউনিয়নের ৩৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বন্যার পানি প্রবেশ করায় পাঠদান করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া স্থানীয় পানিবন্দি বানভাসি মানুষরা এসে বিদ্যালয়গুলোতে আশ্রয় নেয়। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় ছেলে-মেয়েদের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পাঠদান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, জেলা শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার ২৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ২০টি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরে বন্যায় ৫৬৫ হেক্টর জমির বোনা ও রোপা আমন ধান তলিয়ে গেছে। নিমজ্জিত হয়েছে ৮ শতাধিক বাড়ি-ঘর। এছাড়া আত্রাই, বড়াল ও নন্দকুজা নদীর পানি বিপদ সীমার কয়েক সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রস্তুতিমূলক সভা। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক খলিলুর রহমান জানান, জেলায় এখনো বন্যা হয়নি। তারপরও আমরা বন্যা পরিস্তিতি মোকাবিলায় আমাদের সামগ্রিক প্রস্তুতি রয়েছে। আমাদের কাছে যে ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে সেগুলো দিয়ে আমরা যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম। সম্পাদনা : প্রিয়াংকা