আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পানামার আর্থিক ব্যবস্থার অস্বচ্ছতা তদন্তে গঠিত হয় পানামা পেপারস কমিশন। এবার ওই কমিশন নিয়ে সরকারি অবস্থানের স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে কমিশন থেকে পদত্যাগ করেছেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্টিগলিটজ। চলতি বছরের এপ্রিলে গোপনীয়তা রক্ষাকারী হিসাবে স্বীকৃত পানামার একটি আইনি প্রতিষ্ঠান মোস্যাক ফনসেকা থেকে ফাঁস হয় প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ নথিপত্র। ওই নথিপত্রগুলোকেই বলা হচ্ছে পানামা পেপারস। পানামার কুখ্যাত অস্বচ্ছ আর্থিক ব্যবস্থার তদন্তে গঠিত সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিশনে যোগ দেন স্টিগলিটজ এবং সুইজারল্যান্ডের দুর্নীতিবিরোধী বিশেষজ্ঞ ও বাসেল ইউনিভার্সিটির অপরাধ আইনের প্রফেসর মার্ক পিথ। পানামা এই কমিশনের প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করার নিশ্চয়তা না দেওয়ায় শুক্রবার তারা দু’জনই পদত্যাগ করেন। দ্য গার্ডিয়ান
স্টিগলিটজ বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম এই সরকার আরও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু তারা তা নন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি অবাক হলাম, কিভাবে তারা আমাদের অবজ্ঞা করলেন।’ তিনি জানিয়েছেন, কমিশনের বাকি পাঁচ সদস্যও পদত্যাগ করতে পারেন।’
বিবৃতিতে সরকারের পক্ষ থেকে ওই দুজনকে ধন্যবাদ জানানো হয়। সেই সঙ্গে বলা হয়, সরকার এখনও স্বচ্ছতা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
স্টিগলিটজ ও পিথ জানিয়েছেন, চলতি বছরের এপ্রিলে পানামার প্রেসিডেন্ট হুয়ান কার্লোস ভ্যারেলা বলেন, এই স্বতন্ত্র কমিশন দেশটির আর্থিক এবং বিচারিক চর্চা পর্যবেক্ষণ করবে। জুনের ৪ ও ৫ তারিখে পানামা সরকারের সঙ্গে প্রথম পূর্ণ বৈঠকে কমিশনের সদস্যরা সাফ জানিয়ে দেন, কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে যা-ই থাকুক না কেন, তা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে গত সপ্তাহে জানানো হয়, কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করার প্রতিশ্রুতি থেকে সরকার সরে এসেছে।
এ প্রসঙ্গে স্টিগলিটজ বলেন, আমরা কেবল অনুমান করতে পারি যে, ‘পানামার অস্বচ্ছ আর্থিক ব্যবস্থায় যারা লাভবান হয়েছেন, তারাই সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করেন।
পানামা পেপারসে ১৯৭৭ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ফাঁস হওয়া তথ্যে দেখা যায় যে, ট্যাক্স হ্যাভেনে জন্মানো কিছু কোম্পানি অর্থপাচার, অস্ত্র ও মাদকপাচার এবং ট্যাক্স ফাঁকির সঙ্গে যুক্ত। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ