গাজীপুর প্রতিনিধি : কাশিমপুর কারাগারে বন্দি যুদ্ধাপরাধে ফাঁসির দ-প্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর সঙ্গে তার দুই আইনজীবী দেখা করেছেন, যাদের একজন হলেন তার ছেলে।
কারাগারের জেলার মো. নাশির আহমেদ জানান, বেলা সাড়ে ১২টায় মীর কাসেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আহমেদ বিন কাসেম ওরফে আরমান ও অপর আইনজীবী সাইয়েদ মো. রায়হান উদ্দিন তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। ‘তারা পৌনে এক ঘণ্টা কারাগারের একটি কক্ষে কাসেম আলীর সঙ্গে মামলা ও পারিবারিক বিষয়ে কথা বলেন।’
২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে মীর কাসেমকে মৃত্যুদ- দেওয়া হয়। গত ৮ মার্চ আপিলের রায়েও সেই সাজা বহাল থাকে।
উচ্চ আদালতে আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য করা আবেদনের উপর শুনানির দিনে সোমবার শুনানি না করে আদালতে দুই মাস সময় চান মীর কাসেমের আইনজীবীরা। পরে আদালত দুই মাস সময় না দিয়ে আগামী ২৪ আগস্ট শুনানির দিন ধার্য করেন।
রিভিউ না টিকলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন একাত্তরের বদর নেতা মীর কাসেম। সে আরজিও নাকচ হলে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে কারা কর্তৃপক্ষ তার ফাঁসির দ- কার্যকরের ব্যবস্থা নেবে।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৭ জুন মতিঝিলে নয়াদিগন্ত কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করা হয় কাসেমকে। পরের বছর ৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তার বিচার।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর কাসেম ১৯৮৫ সাল থেকে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ অর্থাৎ মজলিসে শুরার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। সম্পাদনা : প্রিয়াংকা