• প্রচ্ছদ
  • আমার দেশ
  • আমাদের বিশ্ব
  • খেলা
  • ইসলামি চিন্তা
  • অমৃত কথা
  • বিনোদন
  • আজকের পএিকা
    • প্রথম পাতা
    • শেষ পাতা
  • নগর সংস্করণ
  • মিনি কলাম
  • খ্রিস্টীয় দর্পণ
  • প্রবারণা পূর্ণিমা

প্রথম পাতা

সেই বন্য হাতিটি উদ্ধারে ব্যর্থ ভারতের বিশেষজ্ঞরা ফিরে যাচ্ছেন

প্রকাশের সময় : August 8, 2016, 12:33 am

আপডেট সময় : August 8, 2016 at 12:33 am

মাছুম বিল্লাহ : ভারতের আসাম থেকে ব্রহ্মপুত্র নদের স্রোতে ভেসে আসা সেই বন্য হাতিটি উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে দেশটির তিন বিশেষজ্ঞ ফিরে যাচ্ছেন। এখন হাতিটি উদ্ধারে বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী বিভাগের বিশেষজ্ঞরা কাজ করবেন।

গতকাল রোববার সকালে ভারতের তিন বিশেষজ্ঞ জামালপুরের সরিষাবাড়ি থেকে ঢাকায় এসেছেন। মঙ্গলবার সকালে তারা ভারতে ফিরে যাবেন বলে জানিয়েছেন প্রতিনিধি দলের সদস্য আসামের প্রধান বন কর্মকর্তা (অবসরপ্রাপ্ত) রীতেশ ভট্টাচার্য।

তিনি বলেন, উৎসুক মানুষের ঢল আর বন্যার পানির কারণে ঘুমের ওষুধ ব্যবহার করে হাতিটিকে উদ্ধার করা যাচ্ছে না। শুকনো এলাকায় না আসা পর্যন্ত হাতি উদ্ধার করতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি।

রীতেশ ভট্টাচার্য বলেন, রোববারও একাধিকবার চেষ্টা করেও হাতিটিকে ট্রাঙ্কুলাইজ করতে পারেনি। তাই এখন আমরা বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে দায়িত্ব বুঝে দিয়ে ফিরে যাচ্ছি।

এদিকে এখনো হাতিটি উদ্ধার না হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রোববার সকালে হাতিটি জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার সিধুলী ইউনিয়নের মুজাটা গ্রামে দুটি বাড়ি ভাঙচুর করেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। বাড়ি ভাঙচুরের পর হাতিটি সেখান থেকে ফের সরিষাবাড়ি উপজেলার দিকে চলে যায়। সর্বশেষ হাতিটি সরিষাবাড়ির ভাটারা ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের নদীর পাড়ে অবস্থান করছে। তবে হাতিটিকে বিরক্ত করা ও ধাওয়া না দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসন মাইকিং করে জনসাধারণকে অবহিত করছে।

হাতি উদ্ধার অভিযানের ব্যাপারে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান আসাম কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের কলেজ অব ভেটেরিনারি সার্জন বিভাগের প্রধান কুশল কনওয়ার শর্মা বলেন, হাতিটি উদ্ধারে প্রধান সমস্যা উৎসুক জনতা। তাদের তাড়া খেয়ে শুকনো এলাকায় আসতে পারে না হাতিটি। চারদিকের রাস্তায় জনতা আর জনতা। জনতার অত্যাচার না কমলে হাতি উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে।

তিনি বলেন, হাতিটি উদ্ধারে সুন্দরবন থেকে ও কক্সবাজার থেকে দুজন বিশেষজ্ঞ এসেছেন। আমি তাদের সব কিছু বুঝিয়ে দিয়ে ঢাকায় এলাম। এখন বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা পরিস্থিতি বুঝে হাতিটি উদ্ধার করবেন। আমরা দেশে ফিরে যাচ্ছি।

এদিকে ভারতের বন্য হাতি উদ্ধার অভিযানে বাংলাদেশের ১৭ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আরও দুজন পশু চিকিৎসক যোগ হচ্ছেন। কক্সবাজার ও সুন্দরবনের দুজন পশু চিকিৎসক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে যোগ দেবেন।

বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী অঞ্চলের উপ-বনসংরক্ষক মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, ভারতের তিন বিশেষজ্ঞ ফিরে যাচ্ছেন। এখন আমাদের দেশীয় বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা হাতিটি উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখবেন।

তিনি বলেন, ভারতীয় বিশষেজ্ঞরা ফিরে যাওয়ায় কক্সবাজার থেকে একজন পশু চিকিৎসক উদ্ধার অভিযানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগ দিবেন। আর অভিযানে থাকা একজন পশু চিকিৎসক ফিরে আসবেন।

গত ২৭ জুন হাতির পাল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আসামের বন্য হাতিটি ব্রহ্মপুত্র নদের স্রোতে ভেসে সীমান্ত পার হয়ে কুড়িগ্রামসহ চারটি জেলা ঘুরে এখন জামালপুরের সরিষাবাড়ির ভাটারা ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের নদীর পাড়ে অবস্থান করছে। এক মাসের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করা ভারতীয় বুনো হাতিটি উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছেন বন্যপ্রাণী বিভাগের কর্মকর্তারা। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ

সম্পাদক

নাসিমা খান মন্টি

09617175101, 01708156820

[email protected]

১৩২৭, তেজগাঁও শিল্প এলাকা (তৃতীয় তলা) ঢাকা ১২০৮, বাংলাদেশ। ( প্রগতির মোড় থেকে উত্তর দিকে)