আজাদ হোসেন সুমন : ‘ছেলের সঙ্গে কথা বলেছি, স্পষ্টভাবে দেখতেও পেরেছি’- দর্শনার্থী কক্ষের অস্বচ্ছ কাচ সরিয়ে নেওয়ায় চোখেমুখে স্বস্তিভাব নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন আকলিমা খাতুন। তিনি নারায়নগঞ্জের ভূঁইগড় এলাকা থেকে এসেছেন ছেলেকে দেখতে। কেরানীগঞ্জের নতুন কেন্দ্রীয় কারাগারে দর্শনার্থীকক্ষের অস্বচ্ছ কাচ সরিয়ে ফেলায় বন্দি ও সাক্ষাতপ্রার্থীদের মাঝে দেখা গেছে স্বস্তিভাব। তবে পুরোনো ঢাকার কারাগারের ওই কক্ষে একযোগে ১৩০ জন সাক্ষাত করতে পারতো। কিন্তু নতুন কেন্দ্রীয় কারাগারে এমন সুযোগ না থাকায় সকাল ১১টায় এসে দুপুর একটা পর্যন্তও সাক্ষাত করতে পারেননি পুরান ঢাকার মাহে আলমের স্ত্রী সাবিনা আক্তার। শিশু-সন্তান নিয়ে তিনি প্রখর রোদে দাঁড়িয়ে ছিলেন। চোখে-মুখে ছিল অসহায়ত্বের ছাপ। শত কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯৪ একর জায়গাজুড়ে কারাগারের এই অবস্থা। স্টিলের তৈরি দুটো বড় ছাতা ভেঙে পড়ে আছে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নেসার আলমের কক্ষে গিয়ে বসতেই খুলে যায় একটি নতুন চেয়ারের হাতল। ‘কি পরিমাণ দুর্নীতি হলে এক সপ্তাহর মধ্যে চেয়ারের হাতল খুলে যায়’- এভাবে মন্তব্য করলেন উপস্থিত আরেকজন সাংবাদিক।
কারাগারের সিনিয়র তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গির কবীর সাক্ষাতকার কক্ষ সম্পর্কে বলেন, কক্ষটি ছোট হয়ে গেছে। এটি বড় আকারে করার জন্য ইতিমধ্যে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি আইজি প্রিজনের নলেজেও আছে। আশা করছি খুব শিগগিরই এ ব্যাপারে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সম্পাদনা: আ. হাকিম