ইসমাঈল হুসাইন ইমু : জঙ্গি বা সন্ত্রাসী হামলা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট ‘রেফারেন্স’ ছাড়া কোনো ধরনের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। একই সঙ্গে প্রতিবেদন তৈরিতে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
গতকাল রোববার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের বলেন, গুলশানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় গ্রেফতার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক হাসনাত করিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রিমান্ডে তিনি (হাসনাত) যে তথ্য দিয়েছেন তা যাচাই-বাছাই চলছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, রিমান্ডে যে তথ্য পাওয়া গেছে সে সব বিষয়ে এখনো কিছু বলার সময় আসেনি। এখন পর্যন্ত যা জানতে পেরেছি তা তদন্তের স্বার্থে বলা সম্ভব হচ্ছে না।
আর্টিজানের সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এ ধরনের কথিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের ফলে তদন্তকারীদের উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আপনাদের মাধ্যমে অনুরোধ জানাচ্ছি, এ ধরনের প্রতিবেদন যেন কেউ প্রকাশ না করে। আর কারো কাছে যদি এক্সক্লুসিভ কোনো ছবি বা তথ্য থাকে তারা যেন সরাসরি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন কোনো ছবি প্রকাশ করবেন না যাতে করে তদন্তে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। যদি কোনো প্রমাণ থাকে তাহলে তা আমাদের কাছে সরবরাহ করুন। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম