কিরণ সেখ : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, মোসাদ্দেক আলী ফালু হয়তো তার কাক্সিক্ষত পদ পাননি। সেই কারণেই হয়তো তিনি পদত্যাগ করেছেন। কারণ যদি কেউ স্থায়ী কমিটির সদস্য হওয়ার প্রত্যাশা করেন, আর তাকে যদি ভাইস চেয়ারম্যান দেওয়া হয় তাহলে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন। এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। তবে এই পদত্যাগ বিএনপির উপর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন তিনি।
গতকাল রবিবার মোসাদ্দেক আলী ফালুর পদত্যাগ করার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আমাদের অর্থনীতিকে তিনি এসব কথা বলেন।
মোশাররফ হোসেন বলেন, কেউ প্রত্যাশা করতে পারেন তিনি স্থায়ী কমিটির সদস্য হবেন। কিন্তু সবার চাওয়া-পাওয়া এবং প্রত্যাশা পূরণ হয় না।
তিনি বলেন, গতকাল গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে মোসাদ্দেক আলী ফালু ক্ষোভে পদত্যাগ করেছেন। আসলে এই কথাটা ঠিক নয়। কারণ এর আগে বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছেন। আমার মতে, মোসাদ্দেক আলী ফালুর পদত্যাগও ব্যক্তিগত।
গত কমিটিতে মোসাদ্দেক আলী ফালু বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছিলেন। নতুন কমিটিতে তাকে ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে। কমিটি ঘোষণার প্রায় ৪ ঘণ্টা পর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানান।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মোশাররফ হোসেন বলেন, স্থায়ী কমিটির দুটি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক দুটি এবং যুব ও ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক পদে এখনো কাউকে চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে এই বিষয়ে আলোচনা চলছে। ঠিক হলেই ঘোষণা করা হবে। সম্পাদনা : রিমন মাহফুজ