ডেস্ক রিপোর্ট : রিকশায় করে যাচ্ছিলেন তাহমিনা হক। হঠাৎ পাশ থেকে মোটরসাইকেলে দুই আরোহী এসে ছুঁ মেরে তার ভ্যানেটি ব্যাগটি নিয়ে গেল। তার চিৎকার শুনে দৃষ্টি আকৃষ্ট হলেন সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা লেডি সার্জেন্ট। সঙ্গে সঙ্গে স্কুটিটা নিয়ে ছিনতাইকারীদের পিছু ছুটলেন তিনি। প্রায় ১৫ মিনিট চেষ্টার পর ধরা পড়লেন ছিনতাইকারী। তাহমিনা হকও তার অলঙ্কার, নগদ টাকাসহ ব্যাগখানা ফেরত পেলেন। পাঠক ভাবুন তো বিষয়টি কতো সুন্দর হতে পারে। উপরের ঘটনাটি কাল্পনিক হলেও খুব শিগগিরই সে সময় আসছে, যখন লেডি সার্জেন্টরাও রাজপথের অতন্দ্র প্রহরীর মত স্বরূপে কর্তব্যরত থাকবেন।
সূত্র জানিয়েছে, নারী ক্ষমতায়নকে আরও শক্তিশালী করতেই পুলিশের ট্রাফিক বিভাগেও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে লেডি সার্জেন্ট। যাদের রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে ওয়্যারলেস হাতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায়।
এবার তাদের দেওয়া হচ্ছে একটি স্বনামধন্য ব্র্যান্ডের ১০০ সিসি’র বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন স্কুটি। রাজধানীতে দায়িত্বরত রয়েছেন ২২ লেডি সার্জেন্ট। যারা গত সাতদিন থেকে স্কুটি চালনা শিখছেন। এ ক’দিন পুলিশ লাইনের ভেতরেই প্রশিক্ষণ নিলেও গতকাল সোমবার তারা রাজপথে নেমে এসেছেন। বাংলানিউজ
তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন পুলিশের মোটরযান ওয়ার্কশপের মেকানিক মোহাম্মদ শামীম। তিনি বলেন, ক’দিনেই বেশ অগ্রগতি হয়েছে। দু-তিন দিনের মধ্যেই শেখা শেষ হয়ে যাবে।
বগুড়ার মেয়ে সার্জেন্ট রাবেয়া আক্তার স্কুটি পাচ্ছেন বলে খুব উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, মোটরসাইকেল না হলে এ পেশায় কাজ করা খুব কষ্টের। বাংলাদেশ পুলিশ ঢাকা মেট্রোতে দায়িত্বরতদের স্কুটি দিচ্ছে। পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও দেবে। এতে কাজ করা অনেক সহজ হবে। প্রথমে ভয় লাগত, আজ বড় রাস্তায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছি, খুব ভাল লাগছে-জোক করেন তিনি। রাবেয়া বলেন, বুধবার প্রশিক্ষণ শেষ হবে। আগামী বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে স্কুটিগুলো হস্তান্তর করা হবে। সম্পাদনা : রিমন মাহফুজ