মাসুদ আলম : বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির সঙ্গে জড়িত বিদেশি চক্রটিকে এখনো জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেনি পুলিশ। তাই এ ঘটনায় বাংলাদেশের কেউ জড়িত কিনা তা নিশ্চিত হতে পারছে না পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের বেশকজন কর্মকর্তার গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছে তদন্তসংশ্লিষ্টরা।
ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কার পুলিশ সিআইডির অনুরোধের প্রেক্ষিতে জানিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশের পুলিশের মুখোমুখি করার সুযোগ দেবে। কিন্তু এখনো সেই সুযোগ পায়নি সিআইডি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষেই মূলত জানা যাবে বাংলাদেশে তাদের সঙ্গে কেউ জড়িত ছিল কিনা। এ বিষয়ে ইন্টারপোলের সঙ্গে গত ২৭ জুলাই একটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল সিআইডির। কিন্তু বিশেষ কারণে তা হয়নি। ইন্টারপোলের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির সঙ্গে ৪ দেশের ২০ নাগরিক জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে সিআইডি। ওই ২০ জন বিদেশি ফিলিপাইন, জাপান, শ্রীলঙ্কা এবং চীনের নাগরিক। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের গাফিলতির নানা তথ্য প্রমাণ পেয়েছে তারা। এসব বিদেশি কোনো নাগরিককে এখনো জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেনি সিআইডি। তবে হ্যাকাদের সন্ধান পায়নি বিদেশি পুলিশ।
গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনে স্থানান্তর করে হ্যাকাররা। রিজার্ভ চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত ফিলিপাইনের নাগরিকদের জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ চেয়ে চিঠি দিয়েছে সিআইডি। তবে চিঠির সাড়া মেলেনি এখনো। কবে নাগাদ ফিলিপাইনের ওইসব জড়িতদের সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। একই ঘটনা ঘটেছে শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও।
এ বিষয়ে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (অর্গানাইজড ক্রাইম) আব্দুল্লাহেল বাকি বলেন, ইন্টারপোলের সঙ্গে বৈঠকের অপেক্ষায় আছে সিআইডি। বেশকবার ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কান পুলিশের সঙ্গে যোগযোগ করলেও তেমন সহযোগিতা পাচ্ছিনা। তবে হ্যাকারদের বিষয়ে বিদেশি পুলিশও নিশ্চিত নয়। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম