গণশুনানিতে তোপের মুখে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান
ফারহান ফারুক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি খাতের প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাসের শেয়ারের বর্তমান মূল্য ও লভ্যাংশের বিষয় নিয়ে কথাকাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মোস্তাক সাদেক ও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) চেয়ারম্যান এ আর খান। পরে শেয়ারহোল্ডারদের নিয়ে অসংলগ্ন মন্তব্য করায় তোপের মুখে পড়েন তিনি।
গতকাল রাজধানীর টিসিবি মিলনায়তনে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের উপর দ্বিতীয় দিনে গণশুনানি চলছিল। তিতাস গ্যাসের পক্ষে দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব উত্থাপন শেষে ভোক্তা ও বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের পক্ষ থেকে জেরা চলছিল। একপর্যায়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মোস্তাক সাদেক তিতাস গ্যাসের শেয়ারের আগের ও বর্তমান মূল্যের পার্থক্যের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ৮০ টাকার শেয়ার এখন ৪০ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে, ফলে সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারপ্রতি জনগণের আস্থা কমে গেছে, এজন্য তিতাস গ্যাস দায়ী। এসব কারণে ৩৩ লাখ বিনিয়োগকারী পথে বসতে শুরু করেছেন। শেয়ার বাজারের বড় ক্ষতি হয়েছে।
এ সময় বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা কার কথায় শেয়ার কিনেছেন। জবাবে মোস্তাক সাদেক বলেন, যেহেতু বাজারে লিস্টেড হয়েছে সেহেতু শেয়ার কিনতে কারও অনুমতি প্রয়োজন হয় না। পাল্টা উত্তরে চেয়ারম্যান বলেন, বিনিয়োগকারীরা এখান থেকে কাড়ি কাড়ি টাকা তুলে নিয়ে চলে যান। প্রসঙ্গ শেষ না হতেই কথাকাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন উপস্থিত শেয়ারহোল্ডার ও সংশ্লিষ্টরা।
এ সময় চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা ‘তথাকথিত’ শেয়ারহোল্ডার। এ কথা বলার পর উপস্থিত শেয়ারহোল্ডাররা হইচই শুরু করেন। সবাই চেয়ারম্যানকে ‘শব্দটি’ প্রত্যাহার করতে বলেন। এভাবে প্রায় ৮-১০ মিনিট হইচই চলে।
অবস্থা প্রতিকূল দেখে একপর্যায়ে এআর খান বলেন, আসলে আমি আপনাদের তথাকথিত বলিনি। বলেছি সেইসব বিদেশি বিনিয়োগকারীদের, যারা এখান থেকে টাকা তুলে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা একটি ওয়ার্কশপ করেন। এটি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির শুনানি। শেয়ারের বিষয় নিয়ে এখানে আলোচনার কিছু নেই। আপনারা রাউন্ড টেবিল করেন, সেখানে আলোচনা করেন।
কিন্তু ‘তথাকথিত’ শব্দটি প্রত্যাহার না করায় তখনও শেয়ারহোল্ডাররা চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন। অবশেষে তিনি ‘সরি’ বললে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এতে বিইআরসি চেয়ারম্যান এআর খান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সদস্য মাকসুদুল হক ও রহমান মোর্শেদ। সম্পাদনা : আ. হাকিম