ডা. আবুল হাসনাৎ মিল্টনের কলাম-এর প্রতিবাদ
২৭ জুলাই, ২০১৬ দৈনিক আমাদের অর্থনীতির পৃষ্ঠা ৪-এ ডা. আবুল হাসনাৎ মিল্টনের লেখা ‘সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে কুৎসা রটানো তো রাষ্ট্রীয় অবদান!’ শিরোনামের লেখাটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এই লেখাটি শুধুমাত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়ার নেতাকর্মীদেরকেই ক্ষুব্ধ করেনি, এই প্রশান্ত মহাসাগরের তীরের বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নানা পেশার মানুষকেও দারুণভাবে আহত করেছে। অত্যন্ত সুচিন্তিত এবং সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুই দশকের ভাবমূর্তিকেও ক্ষুণœ করার অপচেষ্টা হয়েছে। সম্পূর্ণ বানোয়াট, মনগড়া এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই লেখায় বেশ কিছু তথ্য উপস্থাপন করার অপচেষ্টা করা হয়েছে যা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র বলে আমরা মনে করি।
উল্লিখিত লেখায় আবুল হাসনাৎ মিল্টন দাবি করেছেন, তিনি দীর্ঘদিন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। আমাদের জানামতে, তিনি অস্ট্রেলিয়ায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করলেও কখনও তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। অথচ এই লেখায় আবুল হাসনাৎ প্রমাণ করতে চেয়েছেন তিনি আওয়ামী লীগের অনেক বড় শুভাকাক্সক্ষী। এটিও তার এক ধরনের চাতুরতা।
লেখায় তিনি উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান কোষাধ্যক্ষ আব্দুল বারেক খান (রতন) মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে কটূক্তি করেছেন। এই মনগড়া এবং কাল্পনিক তথ্যটি তিনি কোথায় পেয়েছেন? আমরা আশা করছি, তার এই লেখার স্বপক্ষে কোনো তথ্য-প্রমাণ দিতে না পারলে তিনি লেখাটি প্রত্যাহার করে নেবেন। অন্যথায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়া তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান কোষাধ্যক্ষ আব্দুল বারেক খান (রতন) যুবদলের নেতা হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। এটিও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য।
আব্দুল বারেক খান (রতন) আজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী এবং নিবেদিতপ্রাণ।
আমরা বিশ^াস করি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত একটি সংগঠন। নানা ঘাত-প্রতিঘাত ও ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে আজও বাংলাদেশ এবং দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।
সিরাজুল হক, সভাপতি
পি এস চুন্নু, সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, অস্ট্রেলিয়া।