জাফর আহমদ : ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, ভূমি ব্যবস্থাপনাকে দ্রুত ডিজিটালাইজড করার লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে। অন্যান্য দেশের চেয়ে কম সময়ে বাংলাদশের ভূমি ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকায়ন করা সম্ভব হবে। গতকাল মঙ্গলবার তেজগাঁও ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরে ডিজিটাল ম্যাপ প্রিন্টিং মেশিন সংক্রান্ত ট্রেনিং প্রোগ্রামের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ আবদুল আহাদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব আবুয়াল হোসেন, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের পরিচালক (ভূমি রেকর্ড) ফায়েকুজ্জামান চৌধুরী, পরিচালক (জরিপ) আনোয়ার হোসেন, স্ট্র্যাংদেনিং এ্যাকসেস টু প্রাপার্টি রাইটস ফর অল সিটিজেনস অব বাংলাদেশ প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক শামসুল আলম প্রমুখ। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সে আলোকেই সরকার সকল গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করার লক্ষ্যে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ভূমি সম্পর্কে জানা না থাকলে রাষ্ট্রীয় কাজে সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধাদ্বন্দ্বের সৃষ্টি হবে। সে লক্ষ্যেই ভূমির সঙ্গে সকলের নিবিড় সম্পর্ক ও ভূমি বিষয়ক গ্রন্থ পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। ইতোমধ্যে কিছু বিশ^বিদ্যালয় এ বিষয়ে ফেকাল্টি খুলেছে। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ আবদুল আহাদ মুদ্রিত ম্যাপটি মন্ত্রীকে উপহার দেন। সেখানে জানানো হয় ডিজিটাল প্রিন্টিং প্রেস মেশিন দ্বারা ভূমি রেকর্ড জরিপ অধিদপ্তরে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিদ্যমান মৌজাম্যাপ সিটসমূহ সংরক্ষণ, পুনঃমুদ্রণ এবং দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত হবে। এ মেশিন পরিচালনা কার্যক্রম হাতে কলমে শিক্ষা গ্রহণে ৬১ জেলার ১২২ জন কর্মকর্তা কর্মচারি প্রশিক্ষণে অংশ নেন।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সংরক্ষিত ডিজিটাল ম্যাপ আর্কাইভ হতে ইঙ্কজেট প্রিন্টারের মাধ্যমে ভূমির মালিকরা স্বল্পতম সময়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে মৌজাম্যাপ সিটের মুদ্রণ কপি পাবেন। একেক খতিয়ানের একেকটি ম্যাপ কপি প্রিন্ট পেতে খরচ হিসেবে সরকারি কোষাগারে ৫২০ টাকা জমা দিতে হবে। ম্যাপের সফটওয়্যার জেলা রাজস্ব অফিসে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে থাকবে। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি