‘আইএসের আস্তানা গড়ে উঠছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মালয়েশিয়ার পুলিশের সন্ত্রাস বিরোধী দফতরের প্রধান আইয়ুব খান মেইদিন পিচাই বলেছেন, তারা দুই বছর আগে সেদেশে আইএসের সন্ত্রাসী কর্মকা- বিস্তারের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, ইন্দোনেশিয়ায় সন্ত্রাসী গ্রুপের সঙ্গে যোগসাজশ করে সেখান থেকে অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা নিয়ে আইএস জঙ্গি গোষ্ঠী মালয়েশিয়াসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে সন্ত্রাসী হামলা চালাতে পারে। আইআরআইবি
বিশ্লেষকরা বলছেন, সন্ত্রাসীদের অবৈধ অর্থ আয়, তাদের যাতায়াতের ব্যাপারে এ অঞ্চলের সরকারগুলোর উদাসীনতা এসবই বিপজ্জনক পরিণতির আলামত। প্রকৃতপক্ষে, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াসহ পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশ বহুবার সন্ত্রাসীদের বিস্তারের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে। এরই মধ্যে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে সন্দেহভাজন শত শত ব্যক্তিকে আটকের খবর পাওয়া গেছে। এমনকি মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার তুলনায় সিঙ্গাপুরে মুসলিম জনসংখ্যা খুব কম হলেও সেদেশও সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা থেকে মুক্ত নয়। আইএস সন্ত্রাসীদের সংঘবদ্ধ হামলার ব্যাপারে মালয়েশিয়ার পুলিশ কর্মকর্তার হুঁশিয়ারি থেকে বোঝা যায়, কুয়ালালামপুর কর্তৃপক্ষ যে কোনো সময় সন্ত্রাসী হামলার ব্যাপারে চিন্তিত। এ উদ্বেগ শুধু মালয়েশিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই বরং ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। বেশ ক’বছর আগে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট গ্লোরিয়া অ্যারিও বলেছিলেন, ভুল চিন্তা, সামাজিক বঞ্চনা, বর্ণবাদ, ধর্মীয় ও জাতিগত বৈষম্য এবং দরিদ্রদের ব্যাপারে সরকারের উদাসীনতা থেকেই সন্ত্রাসবাদের জন্ম হয়। তিনি আরো বলেছিলেন, সরকারের অব্যবস্থাপনা ও উদাসীনতার কারণে দরিদ্রের সংখ্যা বাড়ে আর এটাই সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রধান কারণ। বিশ্লেষকরা বলছেন, ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্টের এ বক্তব্য অস্বীকার করা যায় না কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সন্ত্রাসী কর্মকা- লক্ষ্য করলে দেখা যায় সন্ত্রাসবাদ তাদের স্বাভাবিক গতিতে চলছে এবং বৃহৎ শক্তিগুলো তাদেরকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
আইএস সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে মধ্যপ্রাচ্যের বহু সমৃদ্ধ দেশকে আজ ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। তাই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকেও এ ব্যাপারে আরো সতর্ক থাকা জরুরি।