আজাদ হোসেন সুমন ও মবিনুর রহমান : সমুদ্রবন্দর ও উপকূলবর্তী এলাকায় ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বঙ্গোপসাগরে নি¤œচাপের কারণে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে দিনভর বৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে কোথাও থেমে থেমে, কোথাও অবিরাম চলেছে এ বারিবর্ষণ। তাই নগরজীবনে নেমে এসেছে অন্তহীন ভোগান্তি। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার। আরও দুইদিন এমন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদফতর আশঙ্কা করছে। এ বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আগামী দুইদিনে রাজধানীর অধিকাংশ সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা দেবে। মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাতের কারণে গতকালই রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোড, নিমতলী, মালিবাগ মৌচাক, শান্তিনগর খিলগাঁও ও পান্থপথের বিভিন্ন গলিতে জলাবদ্ধতা দেখা যায়। ফলে রাস্তায় চলাচল ব্যাহত হয়। মানুষকে পোহাতে হয় দুর্ভোগ। আবহাওয়া অফিস জানায়, বঙ্গোপসাগরের মৌসুমি নিম্নচাপটি উত্তরপূর্ব দিকে সরে গিয়ে আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলের বাসিন্দা ও মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে সাগরে না যেতে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বাগেরহাটে ঝড়ো হাওয়া ও টানা বৃষ্টিতে উপড়েপড়া গাছের নিচে চাপা পড়ে গীতা রানী দাস নামের এক নারী মারা গেছেন। সকালে বাগেরহাট সদর উপজেলার চুলকাঠি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ওই নারীর মৃত্যু হয়। গীতা রানী দাস চুলকাঠি গ্রামের গোবিন্দ দাসের স্ত্রী।
টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে মঙ্গলবার রাত সাড়ে এগারোটা থেকে বাগেরহাটে বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন রয়েছে। ঝড়ো হাওয়ায় বাগেরহাট শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা উপড়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মংলা বন্দরে অবস্থান নেওয়া জাহাজে মালামাল ওঠানামার কাজ বন্ধ রয়েছে। বাগেরহাট জেলা কালেক্টরেটের ছয়টি কক্ষের প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অনেক কাগজপত্র ভিজে গেছে। পলিথিন দিয়ে কাগজপত্র রক্ষার চেষ্টা চলেছে।
এদিকে, প্রচ- ঢেউ ও বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে রো রো ফেরি চললেও ছোট ফ্লাট ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। ১৭টি ফেরির মধ্যে ৯টি ফেরি বন্ধ রয়েছে। তবে চারটি রো রো ও চারটি কে টাইপের ফেরি দিয়ে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রেখেছে কর্তৃপক্ষ। সম্পাদনা : এম আলম