লাইফ সাপোর্টে বঙ্গবন্ধু হত্যামামলার বাদী মাহিতুল ইসলাম
রিকু আমির : লাইফ সাপোর্টে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বাদী এএফএম মাহিতুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। তিনি ১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত এই সহকারীর বিষয়ে চিকিৎসকরা বলছেন, তার কিডনি, ফুসফুস, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা প্রায় শেষ পর্যায়ে। তার চিকিৎসায় গঠন করা নয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। মেডিকেল বোর্ডের অন্যতম অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক জানান, মাহিতুল ইসলামের কিডনির কার্যকারিতা প্রায় শেষ পর্যায়ে হওয়ায় একদিন পর পর ডায়ালাইসিস দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া তিনি তীব্র নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। ফলে কোনো ওষুধে কাজ হচ্ছে না। মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
মাহিতুল ইসলাম কিডনির সমস্যা নিয়ে বিএসএমএমইউর কিডনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলমের অধীনে ভর্তি হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তাকে এ বিশ্বিবিদ্যালয়ের আইসিইউতে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার উন্নতি হলে কেবিনে নেওয়া হয়। এরপর তার অবস্থার অবনতি হলে আবার তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান তাকে দেখতে যান। তার সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আলী আসগর মোড়ল। মাহিতুল ইসলামের একমাত্র কন্যা বাঁধন দেশবাসীর কাছে তার বাবার জন্য দোয়া চেয়েছেন। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি