আঞ্জুমান মফিদুলে দেওয়া হবে নিহত জঙ্গিদের লাশ
মবিনুর রহমান : জঙ্গিদের লাশ নেয়নি পরিবারের সদস্যরা। বরং তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করেছেন কোনো কোনো জঙ্গির পরিবার। গুলশানের হলি আর্টিজানে নিহত ৫ জঙ্গির লাশ পড়ে আছে সিএমএইচের মরচুয়ারি আর কল্যাণপুরে নিহতদের লাশ পড়ে আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে। পরিবারের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন না নেওয়ায় লাশগুলো আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামকে দিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে সংশ্লিষ্টরা।
সর্বশেষ কল্যাণপুরে নিহত ৯ জঙ্গির লাশ প্রসঙ্গে ঢামেক হাসপাতালের ইনচার্জ এসআই বাচ্চু মিয়া বলেন, জঙ্গিদের লাশ নিতে তাদের পরিবারের কেউ এখন পর্যন্ত যোগাযোগ করেনি। এদিকে, কল্যাণপুরে নিহত এক জঙ্গির বাবা বলেন, তার ছেলে জঙ্গি হলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইবেন এমনকি ছেলের লাশ পর্যন্ত নেবেন না। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে পুলিশের আইজিপি শহিদুল হক বলেন, পরিবার না নিলে জঙ্গিদের লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, দেশের ইতিহাসে প্রথম ভয়াবহ জঙ্গিহামলা চালানো হয় গুলশান ২-এর ৭৯ নম্বর সড়কে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয়। ১ জুলাই রাতে অস্ত্রধারী জঙ্গিরা রেস্টুরেন্টে থাকা বিদেশিসহ সব অতিথিকে জিম্মি করে। এরপর ১৭ বিদেশি ও তিন বাংলাদেশিসহ ২০ জন জিম্মিকে হত্যা করে। রাতে পুলিশ-র্যাবের যৌথ অভিযানে জঙ্গিদের গুলি ও গ্রেনেডহামলায় ৩৩ পুলিশ, আনসার ও র্যাব সদস্য আহত হন। এদের মধ্যে দুই পুলিশ কর্মকর্তা রাতেই মারা যান। পরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৬ জঙ্গি নিহত হয়। এর কদিন পরই কল্যাণপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আরও ৯ জঙ্গি নিহত হয়। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি