নাউরুর আটককেন্দ্রের অভিবাসন প্রত্যাশীরা মিথ্যে বলছেন : অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসনমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নাউরুতে অবস্থিত অস্ট্রেলীয় সরকারের আটককেন্দ্রে যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়া ও আত্মঘাতের প্রবণতা নিয়ে অভিবাসন প্রত্যাশীদের অভিযোগগুলো নাকচ করে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন মন্ত্রী পিটার ডুটন। তার দাবি, অভিবাসন প্রত্যাশীরা মিথ্যে বলেছেন। নাউরুর আটককেন্দ্রের ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে অস্ট্রেলীয় সরকারের তৈরি করা ২ হাজারেরও বেশি প্রতিবেদন ফাঁস হওয়ার একদিন পর এমন দাবি করেন তিনি। এবিসি অনলাইন
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে তৈরি ২ হাজারেরও বেশি অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদন ফাঁস হয়। এই অভিযোগ নতুন নয় যে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ নাউরুতে অস্ট্রেলিয়ার আটক কেন্দ্রে থাকা নারী ও শিশুরা ভয়াবহ নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। বুধবার (১১ আগস্ট) ‘নাউরু পেপারস’ নামে ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করে আটক থাকা অভিবাসন প্রত্যাশীদের শোচনীয় অবস্থাকে নথিবদ্ধ প্রমাণ আকারে হাজির করে গার্ডিয়ান।
এবার সে সমালোচনার প্রতিক্রিয়ায় অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসনমন্ত্রী পিটার ডুটন ফাঁস হওয়া নথিগুলোর তথ্যগুলোর সত্যতা থাকার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। তার দাবি, অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসনের পথ সুগম করতে অভিবাসন প্রত্যাশীরা মিথ্যে বলেছেন। টু জিবি রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি কোনও ধরনের যৌন নিপীড়নের ঘটনা সহ্য করব না। কিন্তু আমি সতর্ক করতে চাই যে ওইসব প্রতিবেদনে যেসব ঘটনার উল্লেখ আছে সেগুলোর কিছু কিছু মিথ্যে অভিযোগ। কারণ, শেষ পর্যন্ত মানব পাচারকারীদের টাকা দিয়ে হলেও মানুষ আমাদের দেশে আসতে চায়। অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের ইচ্ছে পূরণ করতে কিছু কিছু মানুষ ইচ্ছে করে নিজের ক্ষতিসাধনের পরিসর তৈরি করে।
নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, কেউ কেউ অস্ট্রেলিয়ায় আসার চেষ্টার অংশ হিসেবে ওই মিথ্যে অভিযোগগুলো করেছে।’
এদিকে নাউরুর আটককেন্দ্রে অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিপীড়িত হওয়ার অভিযোগগুলো তদন্ত করতে একটি কমিশন গঠনের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে গ্রিন্স পার্টি। হিউম্যান রাইটস কমিশনার গিলিয়ান ট্রিগস অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাউরুর আটককেন্দ্রে অভিবাসন প্রত্যাশীদের রাখাকে ‘অবৈধ’ ‘অনৈতিক’ ও ‘অস্থিতিশীল’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনও পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি না। আমরা সেখানে অত্যন্ত গোপনীয়তার পরিবেশ দেখতে পাচ্ছি। কেননা সেখানে অন্য রিপোর্টারদেরকে যেতে দেওয়া হয় না।’