ফয়সাল খান : আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য সব সিটি করপোরেশন ও জেলা শহরে সম্ভাব্য ৬ হাজার ২৩৩ স্থান নির্ধারণ করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ঈদুল আজহার ১০ দিন আগে এলাকাভিত্তিক পশুর হাটগুলোতে তালিকা টাঙিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। গতকাল সকালে সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ‘কোরবানির পশু নির্ধারিত স্থানে জবেহকরণ ও দ্রুত বর্জ্য অপসারণে করণীয়’ বিষয়ে বৈঠকে এসব তথ্য জানান স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি।
বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা জানান, ঈদের ১০ থেকে ১৫ দিন আগে কখন কোন এলাকার বা বাড়ির পশু জবাই হবে, তার বিবরণ সংবলিত লিফলেট প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছানো হবে। এছাড়া ১৮ বছরের নিচে কোনো মাদ্রাসার ছাত্র কোরবানির পশু জবাই করতে পারবে না বলেও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়। বৈঠকে দেশের ১১টি সিটি করপোরেশনের মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, দেশের ১১টি সিটি করপোরেশনের জন্য ২ হাজার ৯৪৩টি স্থান এবং জেলা শহরগুলোর জন্য ৩ হাজার ২৯০টি স্থান নির্ধারণ করা হয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জন্য ৫৬৭টি, দক্ষিণে ৫৮৩টি, চট্টগ্রামে ৩৮৭টি, রাজশাহীতে ২২৪টি, খুলনায় ১৬০টি, গাজীপুরে ৪২৬টি, নারায়ণগঞ্জে ১৮১টি, সিলেটে ২৭টি, রংপুরে ৯৯টি, বরিশালে ১৪০টি এবং কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে ১৪৯টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনগুলোতে পশু কোরবানির কাজে অংশ নেবেন ৪ হাজার ৮৮৫ জন ইমাম ও ১২ হাজার ৬৩৮ জন কসাই। সিটি করপোরেশনগুলোর নিজ নিজ ওয়েবসাইটে ঈমাম ও কসাইয়ের তালিকা পাওয়া যাবে। সম্পাদনা: আ. হাকিম