শাহানুজ্জামান টিটু : সদ্যঘোষিত বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি নিয়ে গুটিকয়েক নেতার অসন্তোষ প্রকাশ, কমিটিতে অবমূল্যায়নের অভিযোগ ও ক্ষোভকে আমলে না নেওয়ার পক্ষে কঠোর মনোভাব পোষণ করেছেন দলটির শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা। এরমধ্যে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কমিটি ঘোষণার একদিন পরই সংবাদমাধ্যমে স্পষ্ট করে দেন, বড় দলে অনেক যোগ্য লোক থাকে। কিন্তু সবাইকে জায়গা দেওয়া সম্ভব হয় না। যারা বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের উচিত হবে, আগামী কাউন্সিল পর্যন্ত অপেক্ষা করা। কমিটি পুনর্বিবেচনার সুযোগ নেই।
অন্যদিকে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সবদিক বিবেচনা করলে ভালো কমিটি হয়েছে। তাই এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করার সুযোগ নেই। দলে অবদান অনুযায়ী মূল্যায়ন করা হয়েছে। আর কমিটি করার সব ক্ষমতা কাউন্সিলররা বিএনপি চেয়ারপারসনকে দিয়েছেন। তিনি যাকে যেখানে যোগ্য মনে করেছেন, সেখানে তিনি পদ পেয়েছেন।
তবে শীর্ষ নেতাদের কেউ কেউ মনে করেন, নতুন কমিটি ঘোষণার পর প্রথম দিকে এমন অসন্তোষ প্রকাশ অনেকটাই স্বাভাবিক। সময়ের সাথে সাথে আবার সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। তাই এটা নিয়ে বেশি বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। বিএনপি চেয়ারপারসন যে কমিটি ঘোষণা করেছেন, সেখানে নেতাদের বিগত দিনের কর্মকা- মূল্যায়ন করে পদপদবী নির্ধারণ করেছেন। এছাড়া কমিটিতে কোনো প্রকার রদবদল করতে হলে অবশ্যই আগামীতে দলের জাতীয় কাউন্সিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ, জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে কাউন্সিলররা দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কমিটি গঠনের সর্বময় ক্ষমতা প্রদান করেছেন। ফলে নতুন করে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে গেলে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় কাউন্সিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণার পরপরই কমিটিতে পদপদবী নিয়ে অসন্তোষের মুখে পড়ে দলটি। কমিটি ঘোষণার পর দলের পদবঞ্চিত নেতারা খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন। তাদের কেউ কেউ মনে করেন, এ কমিটি দলীয় চেয়ারপারসনকে ভুল বুঝিয়ে ঘোষণা করা হয়েছে। সম্পাদনা : এম আলম