বাবুল আর চাকরিতে ফিরতে পারবেন না!
আজাদ হোসেন সুমন : পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার আর চাকরিতে ফিরতে পারবেন না। গত ২৪ জুন রাতে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে তার ১১ বছরের চাকরি জীবন। তারপরও তিনি চেষ্টা করছেন কোনোভাবে যদি চাকরিটা রক্ষা করা যায়। গতকাল পুলিশ সদর দফতরে চলছিল এ গুঞ্জন।
গত ২ ও ৩ জুলাই বাবুল আক্তার পুলিশ সদর দপ্তরে গিয়ে খোঁজ-খবর নেয়ার চেষ্টা করেছেন। ব্যাচমেটদের কাছে অনুরোধ করেছেন তার পক্ষে তদিবর করার জন্য। কিন্তু ২৪ জুন পদত্যাগ পত্রে সই নেয়ার পর সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা তার ফাইল পাঠিয়ে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।
পুলিশের এক পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, বাবুল জানে যে একবার পদত্যাগপত্র সাবমিট করলে চাকরি আর তার নিয়ন্ত্রণে থাকে না। পদত্যাগ পত্র গৃহীত না হলে একটা সুযোগ থাকে। কিন্তু যেহেতু ডিপার্টমেন্টের ভাবমূর্তিতে আঘাতের প্রশ্ন সেহেতু তার পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়ার কোনো কারণ নেই।
জানা গেছে, চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা রহস্য একটি জায়গায় গিয়ে থমকে গেছে। এটি আর আলোর মুখ না দেখার সম্ভাবনাই বেশি। তবে, পুলিশের পক্ষ থেকে বা তদন্তকারীরা এ বিষয়ে মুখ না খুললেও বিষয়টি ‘হাতের আংটি আয়না দিয়ে দেখতে হয় না’ এই প্রবাদের মতই সত্য বলে মন্তব্য করছেন অনেকে। সেসব মন্তব্যের বেশিরভাগই বাবুলের দিকেই তাক করা।
এ বিষয়ে বাবুল আক্তারের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, ৫ জুন চট্টগ্রামে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু। ৬ জুন বাবুল আক্তার বদলি জনিত কারণে পুলিশ সদর দপ্তরে রিপোর্ট করেন। এ মামলায় জড়িত সব আসামিকেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মূল পরিকল্পনাকারী মুছার কোনো হদিস নেই। অবশ্য মুছার স্ত্রী বরাবরই দাবি করে আসছে মুছাকে পুলিশ ২২ জুন ভোরে বাসা থেকে ধরে নিয়ে গেছে। ৫ জুলাই ভোরে মিতু হত্যাকা-ে সরাসরি অংশ নেয়া আসামি রাশেদ ও নবী পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যায়। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি