ওবামাকেও আইএস-এর প্রতিষ্ঠাতা বললেন ট্রাম্প
আমির পারভেজ : মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের পর এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে ‘আইএস-এর প্রতিষ্ঠাতা’ বলে অভিহিত করেছেন। আল-জাজিরা।
গত বুধবার ফ্লোরিডার সানরাইজে এক নির্বাচনী সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, ‘ইসলামিক স্টেট (আইএস) প্রেসিডেন্ট ওবামাকে সম্মান করে। তিনি আইএস-এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনিই আইএস-এর জন্ম দিয়েছেন আর তার সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিলারি ক্লিনটন।’ ওই সমাবেশে ট্রাম্প ওবামাকে তার পুরো নাম ‘বারাক হোসেইন ওবামা’ বলে সম্বোধন করেন। এর আগে গত সপ্তাহে ট্রাম্প ফ্লোরিডাতেই হিলারি সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘আইএস-এর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তাদের কাছ থেকে একটি পুরস্কার প্রাপ্য।’
২০০৩ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের ইরাক আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতেই আইএস গড়ে উঠে। মূলত আল-কায়েদা থেকে বের হয়ে আসা একটি অংশই গড়ে তোলে আইএস। জর্দানের জঙ্গি নেতা আবু মুসাব আল-জারকাউইকে আইএস-এর প্রতিষ্ঠাতা বলে মনে করা হয়। ২০০৬ সালে মার্কিন বিমান হামলায় ওই জঙ্গি নেতা নিহত হয়।
ওবামা প্রশাসনের সময়ই আইএস সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী অবস্থায় পৌঁছায়। বিশেষত সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরুর পর আইএস সিরিয়া ও ইরাকের অনেক এলাকা দখল করে নেয়। তবে গত দুই বছর ধরে মার্কিন বাহিনী আইএস-এর বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়ে ইরাক ও সিরিয়ায় বিমান হামলা চালাচ্ছে।
বুধবার মার্কিন সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল শন ম্যাকফারল্যান্ড জানিয়েছেন, মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের হামলায় গত দুই বছরে প্রায় ৪৫ হাজার আইএস সদস্য নিহত হয়েছে।
ট্রাম্প মার্কিন বিমান হামলাকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উল্লেখ করলেও আইএস-কে রুখতে তার কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কিনা, সে সম্পর্কে এখনও কিছু উল্লেখ করেননি। তিনি এখন পর্যন্ত কেবল যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম নিষেধাজ্ঞার কথাই উল্লেখ করেছেন।
ট্রাম্প এর আগেও ওবামার জন্মস্থান এবং ধর্মীয় বিশ্বাসকেও জঙ্গি হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে বক্তব্য রেখেছেন।
ওরল্যান্ডোর নাইটক্লাবে এক বন্দুকধারীর হামলায় ৪৯ জন নিহত এবং আরও ৫৩ জন আহত হওয়ার ঘটনার পর ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি খ্রিস্টানের বেশে আসলে একজন মুসলিম। ট্রাম্প তখন ওবামার জন্মস্থান কেনিয়ায় বলে উল্লেখ করেছিলেন, যদিও ওবামার জন্ম হয় হাওয়াই দ্বীপে। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ