ব্যাংকের এবং ব্যাংক কর্মকর্তাদেরই দোষ
ড. আবু আহমেদ
বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা এখন এমন এক পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে, যেখান থেকে ফিরে আসা খুব দুর্লভ ব্যাপার। ব্যাংকের ঋণ, ঋণ খেলাপি দুটোই আজ সমানতালে এমনভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, যেটা অদূর ভবিষ্যতে ব্যাংকিং পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করতে পারে। ব্যাংকের ঋণের মাধ্যমে জনগণের টাকা লুট করা একটি বিরাট প্রক্রিয়া হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। ব্যাংক আইনের মাধ্যমে ব্যাংকের দ্বারা যে প্রক্রিয়া চলছে, তা শুধু জনগণের টাকা লুটের মাধ্যম হিসেবে চলছে।
তারপরও ব্যাংক সেই সব লোককে ঋণ প্রদান করে থাকে, যারা ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ যথা সময়ে করে না। ব্যাংক শুধু দেখে ঋণ গ্রহীতাদের কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা, লোন সঠিক লোককে দিচ্ছে কিনা এবং লোন যে লোককে দেওয়া হচ্ছে তার অতীত রেকর্ড কেমন। ব্যাংকের ঋণ দেওয়ার ইচ্ছা আদৌ আছে কিনা এসব বিষয় ব্যাংকাররা দেখে না। আর তখনই ঋণের টাকাটা ভুল হাতে গেলেই ধরে নেওয়া হয় ওই টাকাটা আর ফেরত পাওয়া যাবে না। তারা শুধু ঋণ দিতে পারলেই বাঁচে। এটি ব্যাংকের এবং ব্যাংক কর্মকর্তাদেরই দোষ। ঋণের বিষয়ে মামলা-মোকাদ্দমা হলেও তা এখন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে এবং ফেরত পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে ভবিষ্যতে ব্যাংকিং খাতের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি বিশাল সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর থেকে উত্তরণের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। এমন একটি কমিটি গঠন করা উচিত যার ফলে ঋণের টাকা ফেরতের সঙ্গে সঙ্গে যারা ঋণ খেলাপি তাদের শাস্তির বিধান রাখা উচিত।
পরিচিতি : অর্থনীতিবিদ
মতামত গ্রহণ : শরিফুল ইসলাম
সম্পাদনা : জব্বার হোসেন