ডেস্ক রিপোর্ট : ‘আলম ফ্লোরার বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকর্মী আহমেদ খায়েরী জামাল উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করুন, যার বাড়ি বাংলাদেশের চট্টগ্রামে’। একথা শোনার পর চেহারাটির দিকে ভালভাবে খেয়াল করেন মালয়েশিয়ানরা। চেহারাটি পরিচিত মনে হয়। হ্যাঁ, তিনি আর কেউ নন। মালয়েশিয়ার যুব ক্রীড়ামন্ত্রী খায়েরি জামাল উদ্দিন। যাকে সংক্ষেপে বলা হয় কে.জে.। বাংলানিউজ
হাতা গুটিয়ে রাখা লাল গেঞ্জি, ওপরে হলুদ প্রচ্ছদ, মাথায় আলম ফ্লোরার ক্যাপ পরিহিত খায়েরি আলম ফ্লোরার একটি বর্জ্যরে ট্রাকের পেছনে ঝাড়ু হাতে কাজ করছেন।
‘আলম ফ্লোরা’ কোম্পানিটি মালয়েশিয়ায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ করে। তবে নিছক মজা করতেই এ ধরনের পোশাক পরেননি খায়েরি, বরং একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বর্জ্য অপসারণের ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করতেই এই পোশাক।
এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের আহমেদ খায়েরি জামাল উদ্দিন চৌধুরী পরিচয় নিয়েই উপস্থিত হবেন মালয়েশিয়ার যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী। পাঁচ মিনিটের এ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের লক্ষ্য বর্জ্য অপসারণ করে পুনরায় ব্যবহার এবং পরিবেশের যতœ নেওয়ার জন্য তরুণদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি।
মন্ত্রী তার ফেসবুকে বাংলাদেশি উচ্চারণে লিখেছেন, ‘আহমেদ খায়েরি মালয়েশিয়ার বর্জ্যরে পুনরায় ব্যবহারের নীতিমালা তৈরি করেছেন। তবে বিভ্রান্ত হওয়ার আগেই বলছি, আমি মালয়েশিয়ার যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী খায়েরি, বাংলাদেশের আহমেদ খায়েরি নই’।
আলম ফ্লোরার কর্মীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে তিনি বলেন, যখন আমরা ওই জুতা পরি, তখনই শুধু বুঝতে পারা যায় তাদের এ কাজটা আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
তবে খায়েরির এটাই প্রথম অভিনয় দক্ষতা প্রদর্শন নয়। ২০০৯ সালেও বেঞ্জিলিম এবং বেহির ইউসুফের পরিচালনায় একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে ট্যাক্সিচালকের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি।
এছাড়াও গত বছর একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের জন্য স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পরিচালনাও করেন তিনি। যা মালয়েশিয়ার জনপ্রিয় দৈনিকে প্রকাশিত।