স্থিতিশীল বাজারে মরিচে অস্বস্তি
ডেস্ক রিপোর্ট : সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচ ও রসুনের দাম কিছুটা বাড়লেও অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে; কিছু পণ্য পাওয়া যাচ্ছে আগের চেয়ে কম দামে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, কাঁচামরিচ ছাড়া বাজার এখন মোটামুটি স্বস্তিকর। খবর বিডিনিউজের।
সকালে উত্তর বাড্ডার একটি কাঁচাবাজারে কচুরমুখী ৩০ টাকা, ধুন্দল ৪০ টাকা, করলা ৩৫ টাকা, ঢেঁড়শ ও পটল ৪০ টাকা এবং টমেটো ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।
এই বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছিল ১০০ টাকা কেজি, যা আগের দিন ছিল ৬০ টাকা।
ব্যবসায়ীরা জানান, কাঁচামরিচের দাম একদিনে অনেক বেড়ে গেছে। যে কাঁচামরিচের পাল্লা (৫ কেজি) ১৮০ থেকে ২২০ টাকা ছিল তা এক দিনের ব্যবধানে বেড়ে হয়েছে ৩৪০ টাকা।
ঘাটতি দেখা দিলে যেকোনো সবজির দামই মাঝেমধ্যে এভাবে বাড়ে বলে মন্তব্য করেন দোকানি জহিরুল ইসলাম। ‘সবজির দাম এভাবেই বাড়ে। যখন যেই মালের ঘাটতি দেখা দেয় সেই মালের দামই বেড়ে যায়। আবার সরবরাহ বেড়ে গেলে কমে যায়,’ বলেন উত্তর বাড্ডার এই সবজি বিক্রেতা।
বাড্ডা বাজারে এদিন প্রতিকেজি তেলাপিয়া মাছ ১৪০ টাকা, শিং মাছ ছোটগুলো ২৫০ টাকা, মাঝারি আকারেরগুলো ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।
এক কেজির ইলিশ ১২০০ টাকা, আধা কেজির চেয়ে একটু বড় আকারেরগুলো ৭০০ টাকা চাইছিলেন বিক্রেতারা।
বাজারে কথা হয় গৃহবধূ সুমাইয়ার সঙ্গে। তার কাছে বাজার পরিস্থিতি এখন ‘মন্দের ভালো’।
‘চিনির দামটা একটু বেশি, কিন্তু অন্যান্য পণ্যের দামে খুব বেশি একটা হেরফের হয়নি। বন্যার সময় সবজির দাম খুব বেড়ে যাবে বলে সবাই ভাবছিল। বলা যায়, ওরকম কিছু হয়নি,’ বলেন তিনি।
বাড্ডা বাজারের মুদি দোকানি সরওয়ার জানান, সব পণ্যের দাম তুলনামূলক স্থিতিশীল আছে। ডালের দাম গত সপ্তাহে কিছুটা বাড়তি থাকলেও এখন আবার আগের দামে পাওয়া যাচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকার খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি কিনতে ১৬০ টাকা লেগেছে; কারওয়ান বাজারে পাওয়া গেছে ১৪০ টাকায়।
রাজধানীর অন্যতম এই বাজারে সবজিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক থাকলেও কাঁচামরিচ ও রুই মাছের দাম ছিল বেশ চড়া।
কারওয়ান বাজারে রুই মাছ ৩০০ টাকা ও কাঁচামরিচ ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল। যদিও একদিন আগেই এই বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচের দাম ছিল ৬০ টাকা। আর রুই মাছ পাওয়া যাচ্ছিল আড়াইশ’ টাকার কাছাকাছি দামে।
এ বাজারে এদিন প্রতিকেজি কাতল ২২০ টাকা, পাঙ্গাস ১৩০ টাকা ও মিরকা ২২০ টাকায় বিক্রি হয়। আর এক কেজির ইলিশ পাওয়া যাচ্ছিল ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায়।
বাজারের মুদি দোকানি ইয়াসিন জানান, ডালের দাম কয়েক মাস ধরে স্থিতিশীল আছে। প্রতিকেজি অ্যাংকর ডাল ৬০ টাকা এবং মসূর ডাল ১৫০, ১২০ ও ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর মুগডাল পাওয়া গেছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায় এবং ডাবলি ৪৫ টাকায়।
কারওয়ান বাজারে কচুরমুখী ৩০ টাকা, ঢেঁড়শ ও করলা ২০ টাকা, গোল বেগুন ২৫ টাকা ও টেমেটো ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
দীর্ঘদিন খুচরা পর্যায়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৩৮-৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। শুক্রবারও কাছাকাছি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে নিত্য এই পণ্যটি।
তবে সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি রসুনের দাম ১৫-২০ টাকা বেড়েছে বলে জানান খুচরা বিক্রেতা মাইনুল। সম্পাদনা: এম আলম