ঢাকাসহ সারাদেশে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে ৩ জন নিহত
সুজন কৈরী : আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে তিনজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার ভোরে রাজধানীর কদমতলীর পোস্তগোলা, ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু ও খুলনার কয়রায় বন্দুকযুদ্ধের এসব ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে মাদক ব্যবসায়ী, শীর্ষ সন্ত্রাসী ও বনদস্যু রয়েছেন।
জানা গেছে, গতকাল ভোরের দিকে কদমতলীর পোস্তগোলার পানি শোধন প্রকল্পের ভিতর র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন দেলোয়ার হোসেন লিটন ওরফে কুত্তা লিটন নামের এক যুবক। র্যাবের দাবি, নিহত যুবক মাদক সম্র্রাট, শীর্ষ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ।
র্যাব-১০ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, পোস্তগোলার পানি শোধন প্রকল্পের ভিতরে ৭-৮ জন মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য ক্রয় বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা অতর্কিতভাবে ইট-পাটকেল ছোড়ে এবং গুলি বর্ষণ করে। এতে র্যাবের তিন সদস্য আহত হয়। পরে আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে একজন গুলিবিদ্ধ হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়। পরে জানা যায়, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি ওয়ারীর যাত্রাবাড়ী এলাকার ইয়াবা ব্যবসার নিয়ন্ত্রক, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ দেলোয়ার হোসেন লিটন। তার নামে যাত্রাবাড়ী থানায় অস্ত্র মামলাসহ ৯টি মাদক মামলা রয়েছে।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে দুইটার দিকে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শহিদুল ইসলাম ওরফে পচা (৪৩) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে র্যাব একটি ওয়ান শ্যুটার গান ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। শহিদুল ইসলাম দৌলতপুরের পারদখলপুরের তোরাব আলীর ছেলে। উপজেলার ফলসী গ্রামে সন্ত্রাসীদের গোপন বৈঠক চলছে এমন খবরে র্যাব সেখানে অভিযান চালিয়েছিল।
এছাড়া গতকাল ভোরে খুলনার কয়রা উপজেলার খরখরা নদীর দক্ষিণ পাড়ে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আনারুল ছানা (৪৫) নামে এক বনদস্যু নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশের ৩ কনস্টেবল আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশি বন্দুক, ৫টি কার্তুজ, দুটি দা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কয়রা থানার ওসি শমসের আলী জানান, বৃহস্পতিবার পুলিশ আনারুলকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্যে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আনারুলের সহযোগীরা পুলিশের উপর হামলা চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা গুলি চালালে আনারুল ছানাসহ পুলিশের ৩ কনস্টেবল আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আনারুলকে মৃত ঘোষণা করেন। আনারুলের বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যা ও অস্ত্রের একাধিক মামলা রয়েছে। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি