যুক্তরাজ্যের শারীরিক ভাষা বিজ্ঞানীর দাবি, তাহমিদ নির্দোষ
মমিনুল ইসলাম : গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার ঘটনায় আটক তাহমিদ খানকে নির্দোষ দাবি করেছে যুক্তরাজ্যের শীর্ষ শারীরিক ভাষা বিজ্ঞানী ইন্ডিয়া ফোর্ড। তাহমিদের সদ্য প্রকাশিত ছবি বিশ্লেষণের জন্য তাকে ভাড়া করে তার পরিবার। বিশ্লেষণ শেষে ফোর্ড দাবি করেন, ১ জুলাইয়ের সন্ত্রাসী নৃশংসতায় কোন সন্দেহ ছাড়াই তাহমিদ একজন নির্দোষ ভুক্তভোগী। ফোর্ড এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, তাহমিদের সম্পূর্ণ অঙ্গভঙ্গি স্বাভাবিকভাবে সংযত করে দেখানো হয়েছিল। কোনো মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ, বাধ্য ও জীবনের অত্যন্ত ভয় অনুভব করলে অবচেতনভাবেই যে অতি সাধারণ অঙ্গভঙ্গি প্রকাশ করে থাকে, তার মধ্যে তারই লক্ষণ পাওয়া গেছে।
কানাডা প্রবাসী এ ছাত্রের সর্বশেষ প্রকাশিত ছবির ভিত্তিতে এ অনুসন্ধান করেন ফোর্ড। এ ছবিতে দেখা যায়, ২২ বছর বয়সী টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র একটি বন্দুক হাতে ধরে আছেন। একজন পরিচিত হামলাকারীর সঙ্গে শান্তভাবে কথা বলছেন। কূটনৈতিকপাড়ার এ রেস্তোরাঁর নিকটস্থ ভবন থেকে ছবিগুলো তোলা হয়েছে। তাহমিদের হাতে পিস্তল দেখা যায় এবং তাকে শান্তশিষ্ট দেখা যায়। পুলিশের হাতে নিহত জঙ্গি রোহান ইমতিয়াজের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাকে।
ফোর্ড আরও বলেন, ‘আপনি অবাক হতে পারেন তাহমিদের চেহারা কেন হাস্যোজ্জ¦ল দেখা গেছে। বাস্তবতা হলো, যখন আমরা খুশি থাকি তখনই কেবল হাস্যোজ্জ্বল থাকি না। কাউকে ঘিরে গভীর কোনো কিছু উপলব্ধি করলেও হাস্যোজ্জ্বল থাকি। ’ সূত্র : ন্যাশনাল পোস্ট
তাহমিদের পরিবারের ধরাণা হামলার ঘটনায় প্রকাশিত ভিডিও ও ছবি স্পষ্টটতই দেখিয়েছে সে অনিচ্ছাকৃতভাবে গুলশানের জিম্মি ঘটনায় অংশ নিয়েছিল।
হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁ হামলার ঘটনার এক মাস পর গত ৪ আগস্ট সেখান থেকে মুক্তি পাওয়া হাসনাত করিম এবং তাহমিদ খানকে আট দিনের রিমান্ডে পাঠায় ঢাকার একটি আদালত। ৩ আগস্ট রাতে তাদের গুলশান ও বসুন্ধরা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। দুজনকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম