জঙ্গিবাদ উস্কে দিচ্ছে পকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই তৈয়বা ও জয়শ-ই মোহাম্মদ
আজাদ হোসেন সুমন : পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা ও জয়শ-ই-মোহাম্মদের নেতারা বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ উস্কে দিচ্ছে। জামিনে মুক্তি নিয়ে পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের তারা আশ্রয়-প্রশ্রয় ও অর্থ দিয়ে সহায়তা করছে বলে গোয়েন্দারা তথ্য পেয়েছে। লস্কর-ই-তৈয়বার প্রধান খুররম খৈয়ামসহ অন্তত ১২ জঙ্গি নেতা বাংলাদেশি জঙ্গিদের অর্থ ও লজিস্টিক সাপোর্ট দিচ্ছেন। তাদের মাধ্যমে দুবাই, পাকিস্তান ও সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে অর্থ আসছে জঙ্গিদের কাছে। ভারত হয়ে সীমান্ত গলিয়েও অস্ত্রের যোগান আসছে।
গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, দেশের বিভিন্নস্থানে ঘাঁটি গড়েছে নিষিদ্ধ সংগঠনের জঙ্গিরা। সদস্যদের দেওয়া হচ্ছে বিশেষ প্রশিক্ষণ। এরই মধ্যে উত্তরাঞ্চলে ১২টি প্রশিক্ষণ ঘাঁটির সন্ধান মিলেছে। আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের দুর্গম আস্তানা থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়ে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের ঘাঁটিগুলোতে প্রশিক্ষণ দিয়েছে মাস্টারমাইন্ড জঙ্গিরা। জামিনে থাকা জঙ্গিদের মধ্যে কেউ কেউ ভারত, পাকিস্তান, সিরিয়া, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে আত্মগোপনে আছে।
উল্লেখিত দেশগুলোর বিভিন্ন উগ্র ইসলামপন্থী সংস্থা ও এনজিওর কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে খুররম খৈয়াম বাংলাদেশের জঙ্গি নেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছে। খুররমের নির্দেশে ইতোপূর্বে লস্কর-ই-তৈয়বার একাধিক নেতা গোপনে বাংলাদেশে ঘুরে গেছে বলেও গোয়েন্দারা তথ্য পেয়েছে।
সূত্র মতে হরকাতুল জেহাদ, হিজবুত তাহরির, আল হিকমা, জেএমবি, জেএমজেবি ও আনসারুল্লাহ বাংলাটিম নিষিদ্ধ হলেও তৎপরতা থেমে নেই এদের। জঙ্গিবাদ প্রশ্নে এরা সবাই একাট্টা। ফলে উল্লেখিত জঙ্গি সংগঠনের নেতারা এখন মিলেমিশে একাকার। তাদের সবারই উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন; আর তা হচ্ছে তথাকথিত খেলাফত প্রতিষ্ঠা করা। এ লক্ষ্যে তারা একীভূত হয়ে নাশকতার পরিকল্পনা অব্যাহত রেখেছে।
সূত্রমতে কল্যানপুরে নিহত ৯ জঙ্গি দেশে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। আততামকিনের পরিচালক ও এ্যাডমিনসহ র্যাবের হাতে ধরা পড়া ৫ জঙ্গিও জানিয়েছে নগরজুড়ে তাদের নাশকতার ছক আঁটার কথা।
সূত্র জানায়, ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকা অন্য জঙ্গিরা আত্মগোপনে থেকে নাশকতার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকতে পারে। সূত্রের দাবি, গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক এখন অনেকটাই শক্ত ভীতের উপর দাঁড়িয়ে যেখানেই আস্তানা, যেখানেই পরিকল্পনা সেখানেই হানা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু জঙ্গিরা ঘনঘন অবস্থান পরিবর্তন করে। ফলে তাদেরকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। তবে র্যাব পুলিশ ও গোয়েন্দাদের তৎপরতার কারণে জঙ্গিরা দৌড়ের উপর আছে বলে সূত্রের দাবি। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি