কমিটির সুফল বিএনপি নাও পেতে পারে!
মে. জে. আব্দুর রশিদ (অব.)
বহুল আলোচিত বিএনপির কমিটিতে অনেক নতুন নতুন মুখের আবির্ভাব ঘটেছে। ফলে, বেশ কয়েকজন পুরাতন নেতাকর্মী নতুন কমিটিতে সুযোগ না পেয়ে তারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন এবং অনেকে আবার পদত্যাগও করেছেন।
বিশ্বের যেকোনো রাজনৈতিক দল শক্তিশালী হয় তার দলীয় নেতাকর্মীদের কর্মদক্ষতার ওপর নির্ভর করে। যে দলের নেতাকর্মীরা যতবেশি দক্ষ ও পরিশ্রমী, সে দল বা সংগঠন ততবেশি শক্তিশালী ও সুসংহত। তাই দলের কমিটিতে এমন লোকদের রাখা উচিত, যারা দলের জন্য বেশি সুফল বয়ে আনতে পারে, তাদের দক্ষতা ও পরিশ্রম কাজে লাগাতে পারে। কিন্তু বিএনপি যে কমিটি গঠন করেছে সেখানে দেখা যায়, মুখ চিনে চিনে লোকদের নিয়ে নবকমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে পরিশ্রমী, দক্ষ ও নিষ্ঠাবান লোক এই কমিটিতে আছে কিনা সেটাই এখন ভাববার বিষয়। যদি এই কমিটিতে তেমন নেতাকর্মী না থাকে, তবে খুব সহজে বলা যায়, নবগঠিত কমিটির মূল উদ্দেশ্যই ব্যাহত হতে পারে। বিএনপি রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়াতে কিছুটা হলেও বেগ পেতে পারে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেছেন, পদবঞ্চিতদের বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে পুনরায় বিএনপির কমিটিতে যোগদান করতে। বিএনপি দলটির বর্তমান অবস্থা বেশ নড়বড়ে। যে উদ্দেশ্যে দলটি তার কমিটি গঠন করেছে, তার সঠিক সুফল তারা হয়তো নাও পেতে পারে। কারণ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ যে কমিটি গঠন করেছেন, তার মধ্যে মুখ চেনা নেতাকর্মীর সংখ্যাই বেশি। এই সকল নেতাকর্মী তাদের দলকে কতটুকু সুসংহত করতে পারবে, তাই এখন দেখার বিষয়।
পরিচিতি : নিরাপত্তা বিশ্লেষক
মতামত গ্রহণ : শরিফুল ইসলাম
সম্পাদনা : জব্বার হোসেন