আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ দক্ষিণ সুদানের রাজধানী জুবায় শক্তিশালী আঞ্চলিক নিরাপত্তা বাহিনীর চার হাজার সদস্য মোতায়েনের অনুমোদন করেছে। বাসস
আফ্রিকার এসব সৈন্য দেশটিতে ইতোমধ্যে মোতায়েন ১২ হাজার জাতিসংঘ সৈন্যের চেয়ে আরো বেশি ক্ষমতা পাবে। এদিকে নতুন সৈন্য মোতায়েনে বাধা দিলে দেশটির ওপর জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার হুমকি সত্ত্বেও দক্ষিণ সুদান সরকার বলেছে, তারা এ পদক্ষেপের বিরোধী। দেশটিতে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের পর এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে গত জুলাই মাসে প্রতিদ্বন্দ্বী বাহিনীগুলো যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এতে কয়েকশ’ মানুষ নিহত হয়। এ ছাড়া ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ জুবায় জাতিসংঘের বিভিন্ন শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ রাখতে জাতিসংঘ বাহিনীকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা জানায়, সাম্প্রতিক গোলযোগের প্রেক্ষিতে দক্ষিণ সুদানের এক লাখেরও বেশি মানুষ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে পালিয়ে গেছে।
শান্তিরক্ষী না হলেও আফ্রিকান বাহিনী জাতিসংঘ মিশনের অধীনে থাকবে এবং বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় সক্রিয়ভাবে কাজ করবে। তবে দক্ষিণ সুদানের সহযোগিতা ছাড়া এ মিশন কিভাবে সামনে এগিয়ে যাবে তা স্পষ্ট নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এই বাহিনী প্রয়োজন হলে জোরালো পদক্ষেপসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় সক্রিয়ভাবে টহল দেবে।
আফ্রিকান বাহিনী জুবা ও বিমানবন্দরের সুরক্ষা দেবে এবং হামলার পরিকল্পনা বা হামলার বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পেলে ত্বরিত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
গত মাসে আফ্রিকার নেতৃবৃন্দ আঞ্চলিক বাহিনী পরিকল্পনার ব্যাপারে একমত হয়। সে সময় তারা বলেছিল, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, রুয়ান্ডা, সুদান ও উগান্ডা থেকে এসব সৈন্য আসতে পারে।