বঙ্গবন্ধু বললেন আমাদের নির্বাচনি প্রতীক হবে ‘নৌকা’
দীপক চৌধুরী : ১৯৭০ সাল, ৬ জানুয়ারি। বঙ্গবন্ধু পুনরায় আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। পুনরায় এ জন্যই বলা দরকার, কারণ এর আগেও তিনি দলের সভাপতি ছিলেন। ১ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যকরী পরিষদের সভায় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ৭ জুন রেসকোর্স ময়দানে জনসভায় বঙ্গবন্ধু ৬ দফার প্রশ্নে তার দলের নির্বাচনী প্রতীক হিসাবে ‘নৌকা’ প্রতীক পছন্দ করেন। ঢাকার ধোলাইখালে প্রথম জনসভার মধ্যদিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়। আওয়ামী লীগের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ও কর্মসূচি চূড়ান্ত করতেন তিনিই। দলের নেতাকর্মী-সমর্থক জানতেনÑ বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতা অতুলনীয়। সুতরাং তারা অনেক সময়ই সিদ্ধান্তের ক্ষমতা নেতার হাতেই তুলে দিতেন। তিনি জানতেন, এ দেশের বাঙালিদের কীভাবে জাগাতে হয়। তার নিষ্ঠা, সততা, একাগ্রতা ঘুমন্ত বাঙালিকে জাগিয়ে তোলে ঐক্যবদ্ধ ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্র ও কৃতিত্ব নিয়ে কথা বলতে গেলে একটি কথা বলা এখানে অবশ্যই যুক্তিযুক্ত যে, জাতীয়তাবাদী চেতনা বিকাশের ক্ষেত্রে অন্য বাঙালি নেতাদের বিশেষ করে একে ফজলুল হক, মাওলানা ভাসানী ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর অবদান থাকলেও তারা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করতে পারেননি। কিন্তু বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও আত্মনিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন সংগ্রাম ও আন্দোলনের সফল পরিসমাপ্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতেই হয়েছিল। বাঙালি জাতিরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তিনি যেমন বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা, তেমনি বাঙালির জাতির জনক। সম্পাদনা: এম আলম