ধানমন্ডির বাণিজ্যিক স্থাপনার ইউটিলিটি সার্ভিস বন্ধে চিঠি
বিশ্বজিৎ দত্ত : ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির(ডিপিডিসি) কন্ট্রোল রুমে ফোন করে ধানমন্ডি ও লালমাটিয়া এলাকার অনেকেই জানতে চাইছেন- কবে তাদের বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। কারণ কন্ট্রোল রুম থেকে বলা হচ্ছে- রাজউকের উচ্ছেদ অভিযানের সময়েই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। একইসঙ্গে কেন্ট্রোল রুমের এক সুপারভাইজার টেলিফোনকারীকে আশ্বস্তও করছেন, আসলে কিছুই হবে না। ধানমন্ডিতে আপনারা অনেক প্রভাবশালী, সম্মিলিতভাবে কিছু একটা করুন। তাহলেই ঠিক হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে ডিপিডিসি’র সাতমসজিদ ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী রায়হান আলী মিয়া জানিয়েছেন, আমরা ধানমন্ডি ও লালমাটিয়া এলাকার প্রায় ৪ শতাধিক অবৈধ স্থাপনার প্রতিষ্ঠানকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার চিঠি দিয়েছি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে গ্যাস, পানি ও টেলিফোন কোম্পানিকে বলা হয়েছে- নিজ নিজ আইন অনুযায়ী অবৈধ বাণিজ্যিক ভবনগুলো থেকে সব ইউটিলিটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার। রাজউক যখন উচ্ছেদ অভিযান চালাবে, তখন আমরা তাদের কাজে সহায়তা করবো। অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিসের সদস্যরাও রাজউকের এই কাজে সহায়তা করবে। এক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশনও থাকবে।
এ বিষয়ে রাজউকের উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন সদস্য আসলামউল হক বলেন, ধানমন্ডি এলাকায় আমরা এখনই অভিযান করছি না। প্রাথমিকভাবে রেস্টুরেন্ট ও ছোট অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদেই আমরা কাজ করছি। ইউটিলিটি সার্ভিসগুলো বন্ধের বিষয়ে আসলে কেবিনেট মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সিদ্ধান্তের আলোকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে তাদের কার্যক্রম চালাবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। ধানমন্ডির ২৫৫টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের উচ্ছেদের কাজ কবে থেকে শুরু হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। কিছু কাজ তো প্রতিদিনই চলছে।
তবে অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, গুলশান বা ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় যেসব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাদের উচ্ছেদ না করে প্রতিকাঠা জমির মূল্য ২৩ লাখ টাকা করে ধরে আবাসিক জমিগুলোকে বাণিজ্যিক জমিতে রূপান্তরের একটি চিন্তা সরকারের রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে গুলশান, লালমাটিয়া, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি এলাকার জমি সরকার আবাসিক হিসেবে বিভিন্ন ব্যক্তিকে বরাদ্দ দিয়েছিল।
গত ৫০ এর দশকে ৬০০ একর জমির উপর গড়ে উঠে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা। কালক্রমে এলাকাটি আবাসিক চরিত্র হারিয়ে বাণিজ্যিক এলাকায় পরিণত হয়। বর্তমানে ধানমন্ডিতে ২৫৫টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার মধ্যে ৫১টি স্কুল, কলেজ, স্বাস্থ্য ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ২৪টি। সম্পাদনা: আ. হাকিম