মাসুদ আলম : রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে সংঘবদ্ধ গাড়ি চোর চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শুক্রবার দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে তিনটি স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গতকাল শনিবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে র্যাব-২ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটালিয়নের উপপরিচালক মোহাম্মদ আলী একথা জানান।
তিনি বলেন, একটি মাইক্রোবাস কেরানীগঞ্জ থেকে বেড়ি বাঁধ হয়ে সাভারের হেমায়েতপুর নিয়ে বিক্রি করা হবেÑ এমন খবর পাওয়ার পর অভিযান চালানো হয়। গাড়িটি ধরতে রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের পাশে সড়কে একটি বিশেষ তল্লাশি চৌকি বসায় র্যাব। রাত পৌনে ৩টায় একটি মাইক্রোবাস চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় র্যাব সদস্যরা গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চাইলে ড্রাইভার গাড়ির দ্বিতীয় আসনে বসা এক লোককে দেখিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় মাইক্রোবাসটি ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালানো হয়। সেখানে মিজান, আজহারুল ও ইসমাইলকে একটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও দুই রাউন্ড গুলিসহ গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের গজনবী রোডে অভিযান চালিয়ে মজনু মিয়া, আব্দুর রশিদকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি মাইক্রোবাস ও একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
র্যাব উপপরিচালক বলেন, গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে ঢাকা উদ্যানে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে তরিকুল ও আব্দুল হালিমকে গ্রেফতার এবং একটি প্রাইভেটকার, একটি পিকআপ এবং একটি ছোট ট্রাক উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে গাড়ি চুরি করে সেগুলো বিক্রি এবং ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহার করে আসছিল। ভাড়া নেওয়ার কথা বলে তারা গাড়ি ছিনতাই করত। এরপর গাড়িগুলো মফস্বলের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করত। কখনও মালিকদের ফোন করে গাড়ির বিনিময়ে টাকা চাইত। তবে টাকা বুঝে পেলেও গাড়ি ফিরিয়ে দিত না। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী