সাবিহা সুলতানা: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদ- কার্যকর হওয়া সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর মামলার রায়ের খসড়া ফাঁসের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় লেখা শেষ না হওয়ায় আবারো পেছালো রায় ঘোষণার দিন। রোববার এই রায় ঘোষণার নির্ধারিত দিন থাকলেও এদিন রায় ঘোষণা না করে বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম শামসুল আলম আগামী ২৮ আগস্ট রায় ঘোষণার নতুন দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ৪ আগস্ট উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ট্রাইব্যুনাল ১৪ আগস্ট রায়ের দিন ধার্য করেছিলেন।
এর মধ্যে নারী ও বয়স্ক বিবেচনায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরীর জামিন বহাল রাখেন ট্রাইব্যুনাল। জামিনে থাকা আরেক আসামি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী অনুপস্থিত থাকায় তাকে রায়ের দিন অবশ্যই আদালতে হাজির করতে তার আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সাতজন আসামির মধ্যে ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের জুনিয়র আইনজীবী মেহেদী হাসান মামলার শুরু থেকেই পলাতক আছেন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই ৭ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্যদিয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনালে তাদের বিচারকার্য শুরু হয় এবং ২১ এপ্রিল থেকে এ মামলার বাদী ডিবির পরিদর্শক ফজলুর রহমানসহ চার্জশিটভুক্ত ২৫ সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট ডিবির পরিদর্শক মো. শাহজাহান আসামি ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম, সাকার স্ত্রী, ছেলেসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
উল্লেখ্য, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদ-াদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তবে রায়ের আগের দিন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্য এবং আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা ‘রায়ের খসড়া কপি’ সাংবাদিকদের দেখান এবং স্পাইরাল বাইন্ডিং করা কপি নিয়ে ট্রাইব্যুনালের এজলাস কক্ষে যান।
রায় ঘোষণার পরদিন ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ কে এম নাসির উদ্দিন মাহমুদ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় একটি জিডি করেন। ৪ অক্টোবর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান শাহবাগ থানায় আরেকটি মামলা করেন। এতে ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী ফারুক ও নয়ন এবং ব্যারিস্টার ফখরুলের জুনিয়র মেহেদীকে আসামি করা হয়। সম্পাদনা : প্রিয়াংকা