লিহান লিমা : ফ্রান্সের করসিকা দ্বীপে আপাদমস্তক আবৃত ¯œানের পোশাক পরা এক নারীর ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় আগুন দেওয়া হয় ৩টি গাড়িতে। করসিকার সিসিও গ্রামে এ সংঘর্ষ হয় পশ্চিম আফ্রিকার কিছু লোক ও স্থানীয় তরুণদের মধ্যে। সংঘর্ষে ব্যবহৃত হয় হারপুন ও হাতুরি। ডেইলি মেইল/দি লোকাল
স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, সিসিও’র ক্যানেস সৈকতে একজন পর্যটক দীর্ঘ ¯œান-পোশাক পরা এক নারী সাঁতারুর ছবি তোলেন। নারীটি এর প্রতিবাদ করার পর বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এই সময় উত্তর আফ্রিকার মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু লোক ফটোগ্রাফারকে অপদস্থ করে। স্থানীয় যুবকরা ফটোগ্রাফারের সাহায্যে এগিয়ে আসলে শুরু হয় সংঘর্ষ। এসময় হারপুনের আঘাতে আহত হয় একজন। আর একজন গর্ভবতী নারীকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়।
১৪ জুলাই বাস্তিল দিবসে এক লরি ড্রাইভারের হাতে ৮৫ জন মানুষ নিহত হওয়ার পর থেকে ফ্রান্সের স্থানীয় জনগণ এবং উত্তর আফ্রিকান মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ইতোমধ্যে ফ্রান্স প্রকাশ্য স্থানে বোরকা পরা নিষিদ্ধ করে আইন জারি হয়েছে। নতুন আইনে, কেউ বোরকা পরে ক্যানেস বিচে আসলে তাকে পোশাক পরিবর্তন করতে হবে, বিচ ছেড়ে চলে যেতে হবে অথবা ৩২ পাউন্ড জরিমানা গুনতে হবে।
স্থানীয় মেয়র অ্যানজি পিরি ভিভোনি বলেন, এই সংঘর্ষের কারণ একটি তুচ্ছ ব্যাপার। একজন পর্যটক উত্তর আফ্রিকান নারীর বিনা অনুমতিতে ছবি তোলায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
ক্যানেস পৌর প্রধান থিরি মিগোলি ‘বোরখা নিষিদ্ধ আইন’সমর্থন করে বলেন, আমরা বিচে কোনো ধর্মীয় পোশাক নিষিদ্ধ করার পক্ষে নই। কিন্তু এই পোশাকটি এখন সন্ত্রাসীদের প্রতি আনুগত্যের প্রতীক । আমরা সেই পোশাক নিষিদ্ধ করেছি যা সন্ত্রাসের প্রতিনিধিত্ব করে।
সমালোচকরা দাবি করছেন বোরখা নিষিদ্ধ করাতে আরও সহিংস ঘটনা ঘটবে ও এটি আইএসকে আরও উস্কে দেবে।
শুধু বোরখা নয়, বোরখার মত আপাদমস্তক ঢাকা নারীদের জন্যে সাঁতারের পোশাক বুরকিনি পরে সাঁতারের আয়োজন করার পর ফ্রান্সে ওই অনুষ্ঠান বন্ধের জন্যে হুমকি দিয়ে চিঠি দেওয়ার পর সেই অনুষ্ঠান ইতিমধ্যে বাতিলের ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে ফ্রান্সের অন্তত দুটি সৈকত ও একটি রিসোর্টে বুরকিনি পরিধান নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ফ্রান্স সরকার। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ