ডেস্ক রিপোর্ট : সীমারেখাহীন পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেন তসলিমা নাসরিন। সীমান্ত, কাঁটাতারকে তিনি মানুষের স্বাধীনতার প্রতিবন্ধক মনে করেন। বলেন, যেখানে খুশি সেখানে যাওয়ার স্বাধীনতা আর অধিকারকে দেশে দেশে বর্ডার বানিয়ে নষ্ট করা হয়েছে। ইউরোপের একটি সংগঠন তাকে দিয়েছে ইউনিভার্সাল সিটিজেনশিপ পাসপোর্ট। গতকাল সোমবার পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার এক কলামে তসলিমা নাসরিন লিখেছেন প্রতীকী ওই পাসপোর্টের কথা। তিনি লিখেছেন, ‘আমি কি আর আজ থেকে বর্ডার নেই এমন এক পৃথিবীর স্বপ্ন দেখছি! আমার স্বপ্নের পৃথিবীতে যে কেউ যখন খুশি যেখানে খুশি যেতে পারে, বাস করতে পারে যে কোনো দেশে। মানুষ জীবনভর খানিকটা ভালো জীবনযাপনের আশায় এক অঞ্চল থেকে আর এক অঞ্চলে গিয়েছে, বাসা বেঁধেছে। মানুষের এই যেখানে খুশি সেখানে যাওয়ার স্বাধীনতা আর অধিকারকে দেশে দেশে বর্ডার বানিয়ে নষ্ট করা হয়েছে। স্বপ্ন তো স্বপ্নই থেকে যায়। আমার একটি স্বপ্ন কিন্তু অনেকটাই পূরণ হওয়ার দিকে যাচ্ছে। আমি ভাবতাম আমিই কেবল সীমারেখাহীন পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি। দেখলাম, আরও অনেকে দেখে। ইউরোপের অনেকগুলো সংগঠন মিলে ‘এক পৃথিবী, এক পাসপোর্ট’-এর আন্দোলন করছে। ওরাই বছর তিনেক আগে প্যারিসের ইউনেস্কো বিল্ডিংয়ে বড়সড় অনুষ্ঠান করে মানবাধিকারের জন্য লড়াই করছে এমন কয়েকজনকে এবং আমাকেও ‘ইউনিভার্সাল সিটিজেনশিপ পাসপোর্ট’ দিয়েছে। পাসপোর্টটিতে নাম, জন্মতারিখ, পাসপোর্ট নম্বর আর পাসপোর্ট ইস্যুর তারিখ ছাড়া আর কিছু লেখা নেই। ধর্ম, বর্ণ, দেশ, জাত নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। এটি প্রতীকী পাসপোর্ট। শুনেছি ইকুয়েডর ছাড়া আর কোনো দেশ এই পাসপোর্টকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না।’ সম্পাদনা : রিমন মাহফুজ