বঞ্চিত নেতাদের ক্ষোভ প্রশমন করতে চান খালেদা জিয়া
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী : বিএনপির বঞ্চিত নেতাদের ক্ষোভ প্রশমন করতে চান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ জন্য তিনি নিজেও সিনিয়র কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন, আরও কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলবেন। পাশাপাশি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও কথা বলবেন।
বিএনপির সিনিয়র এক নেতা বলেন, বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার পর যোগ্য সব নেতাকে কমিটিতে রাখা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে যারা দক্ষতা ও যোগ্যতা দেখাতে পারেননি তাদের বিষয়টি ভিন্ন। কিন্তু যারা ভূমিকা রেখেছেন কিন্তু কমিটির আকার বড় করার পরও তাদের ঠাঁই দেওয়া সম্ভব হয়নি; এমন ক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে কথা বলবে হাইকমান্ড। কারণ এসব নেতার মধ্যে হতাশা তৈরি হলে তারা দলের জন্য কাজ করবেন না। দলের সাংগঠিনক ভিত্তি যেখানে সুদৃঢ় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেখানে তারা কাজ না করলে সমস্যা হবে। এ ধরনের সমস্যা বাড়তে দেওয়া যাবে না।
তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বিএনপির এক নেতা বলেন, বঞ্চিত নেতাদের কেউ কেউ ইতোমধ্যে ম্যাডামের সঙ্গে কথা বলেছেন। ম্যাডাম তাদের কথা শুনেছেন। তিনি কয়েকজনকে কমিটিতে সম্পৃক্ত করতেও পারেন। তবে সেই সংখ্যা হাতেগোনা। কারণ কমিটির আকার বাড়ানোর চিন্তা করছেন না তিনি। কেবল শূন্যপদ পূরণ করা ছাড়া। বঞ্চিতদের কেউ কেউ তারেক রহমানের সঙ্গেও কথা বলার চেষ্টা করছেন। বঞ্চিতদের আশ্বস্ত করা হবে আগামী দিনের জন্য কাজ করতে। কাজ করলে আগামীতে মূল্যায়ন করা হবে সেই রকমও আশ্বাস দেওয়া হবে। দলীয় কোনো কোন্দলে না জড়িয়ে ও গ্রুপিং না করারও পরামর্শ দেওয়া হবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি এত বড় একটি দল। সেখানে সব যোগ্য নেতাকে কমিটিতে দায়িত্ব দেওয়া সম্ভব নাÑ এটা নেতাদের বুঝতে হবে। নেতাদের বুঝতে হবে কাজ করলে আগামী দিনে তাদের জন্য সুযোগ রয়েছে। এবারই পদ পাওয়ার সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি। অপেক্ষা করতে হবে। ভালো কাজ করলে তাদেরও মূল্যায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, যারা কেবল পদ পাওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন তাদের বিষয়টি ভিন্ন। পদের আশায় রাজনীতি করলে হবে না। দলের জন্য, মানুষের জন্য ও দেশের জন্য কাজ করতে হবে। কিন্তু যারা তা না করে কেবল পদ পাওয়ার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বলে খবর আসছে তারা ঠিক করছেন না। যদিও গণমাধ্যমেই ক্ষোভটা বেশি দেখছি। বাস্তবে তেমন কোনো ক্ষোভ নেই। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি